হাওড়া: হোলিতে বাড়িতে মদ কিনে আনার আজব আবদার স্বামীর। স্ত্রী সেই আবদার না মেটানোয় বঁটি দিয়ে নিজেই নিজের গলায় কোপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর। হাওড়ার ডুমুরজলার এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার হোলির সকালে স্ত্রীকে মদ কিনে আনার আবদার করেছিলেন স্বামী। কারণ পা ভেঙে প্লাস্টার হওয়ায় স্বামী কয়েকদিন ধরেই ঘরবন্দী রয়েছেন। কিন্তু আবদার না মেটায় বঁটি দিয়ে নিজেই নিজের গলায় কোপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন পেশায় ছোটখাটো হোটেল ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার ইছাপুর ডুমুরজলার এইচআইটি কোয়ার্টারে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকার বাসিন্দা অরূপ পাল (৪০) বাবার সঙ্গে একটি ছোটখাটো খাবারের হোটেল চালান। দিন পাঁচেক আগে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর পা ভেঙে যায়। এরপর থেকে তিনি কার্যত বাড়িতেই ঘরবন্দী হয়ে রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ৩-৪ দিন আগে পা ভেঙে অরূপের পায়ে প্লাস্টার করা হয়। বাড়ির নিচের রুমেই তিনি আছেন। তিনি মদে আসক্ত। এই নিয়ে পারিবারিক অশান্তিও রয়েছে। যেহেতু কয়েকদিন তিনি বাইরে বেরতে পারছিল না তাই এদিন মদ কিনে আনতে বলেছিলেন। বাড়ির লোক মদ এনে দেয়নি। সেই রাগেই সম্ভবত ঘরের বঁটি নিয়ে নিজেই নিজের গলার বাঁ দিকে কোপ চালান তিনি।
এদিন সকালে তাঁর স্ত্রী হোটেলের কাজ সেরে ঘর ঘরে ফিরে দেখেন তাঁর স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। পাশে পড়ে রয়েছে রক্তমাখা বঁটি। ওই ব্যবসায়ী গলায় কোপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তার স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন প্রতিবেশীদের। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা বঁটি উদ্ধার করেছে। তার স্ত্রী জোৎস্না পাল জানিয়েছেন, স্বামী অরূপ অত্যধিক মদ্যপান করতেন। এনিয়ে পরিবারে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। কিন্তু উনি নেশা ছাড়তে পারেননি। তবে গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থতার কারণে বাড়িতেই ছিলেন। কারও সঙ্গেই বিশেষ কথা বলতেন না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।