কলকাতা: নন্দীগ্রামের দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট। শেখ মুক্তারদে রহমান, শেখ বাইতুল, শেখ এমাদুল ইসলাম, শেখ নজরুল ইসলামের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা দেবব্রত মাইতি। ২০২১ সালের ৩ মে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আক্রান্ত হন দেবব্রত মাইতি। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে তাঁকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই দেবব্রত মাইতির মৃত্যু হয়। সিবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত শেখ সুপিয়ান। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নন্দীগ্রামের তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। নন্দীগ্রাম থেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই শেখ সুফিয়ানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।
শেখ সুফিয়ান প্রথমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তারপর তিনি সুপ্রিমকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্ট শর্ত সাপেক্ষে শেখ সুপিয়ানকে আগাম জামিন মঞ্জুর করে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে শেখ সুফিয়ানকে সিবিআইকে সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডারা রয়েছে বলে বিজেপির তরফে বার বার অভিযোগ তোলা হয়। তবে তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করে।