কলকাতা: সারদা কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। আদালতের প্রশ্ন, ২০১৪ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে, এত বছর বাদে সিবিআইকে ইনস্ট্রাকশনের জন্য সময় নিতে হবে? এত বছর তদন্ত করে কী পেলেন সেটাও বলতে পারছেন না আদালতের কাছে। এদিকে, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির প্রেক্ষিতে কাঁথি থানার তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তর করা হোক, এমন আর্জি জানান হয়েছে আদালতে।
আরও পড়ুন- সম্পত্তি বৃদ্ধি ইস্যুতে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির ‘বি-টিম’ বলে নিশানা
শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার আদালতে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি এখন জেলে আছেন। অন্যদিকে, আদালতে জানান হয়েছে, ২০১৪ থেকে আজ অবধি সিবিআই তদন্ত করছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে যে ধারায় সিবিআই তদন্ত করছে সেটি সম্পূর্ণ মানি লন্ডারিং কেস। কিন্তু কাঁথি থানা যে তদন্ত করছে সেটা চুরির তদন্ত। ফাইল লোপাটের তদন্ত। তার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের কোনও যোগ নেই। সিবিআই যদি মনে করত তাহলে এই চুরির তদন্ত করতেই পারতো। কিন্তু তারা এই চুরির তদন্ত করেনি। তাই কাঁথি টানা এ বিষয়ে তদন্ত করতেই পারে।
ওদিকে বুধবারই হাইকোর্ট সারদা মামলায় বড় স্বস্তি পেয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা বুধবার খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের বর্তমান বিজেপি বিধায়কের ভূমিকা খতিয়ে দেখে অবিলম্বে সিবিআই পদক্ষেপের আর্জি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলাই খারিজ হয়ে গিয়েছে।