গোলাবাড়ি: প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই স্কুল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল হাইকোর্ট। যাতে কোনওভাবেই ওই প্রধানশিক্ষক স্কুলে প্রবেশ করতে না পারে, সেই কারণে বন্দুকধারী পুলিশি পাহারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলের এক শিক্ষকের বেতন প্রধানশিক্ষক দুই বছরের জন্য বন্ধ করে রেখেছিলেন। এই সিদ্ধান্তের যথাযত কারণ প্রধান শিক্ষক আদালতকে জানাতে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে।
জানা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শাসন থানা এলাকায় গোলাবাড়ি পল্লীমঙ্গল বিদ্যামন্দির স্কুলে এক শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক শেখ শফি আলম। তিনি স্কুলের এক শিক্ষক রাজু জানার বেতন ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রধান শিক্ষককে তলব করেন। কোন অধিকারে একজন স্কুল শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে পারেন বলে আদালতের তরফে প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করা হয়। বিচারপতির প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে যথাযথ উত্তর প্রধান শিক্ষক দিতে পারেননি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে স্কুলের মধ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন। তিনি জানান, আগামী ১০ জুন পর্যন্ত স্কুলে প্রধান শিক্ষক প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রধান শিক্ষক যাতে স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন গোলাবাড়ি পল্লীমঙ্গল স্কুল দুজন বন্দুকধারী পুলিশ কর্মী নিয়োগ করতে হবে। স্কুলটি যেহেতু শাসন থানার অন্তর্গত তাই সেখান থেকেই দুজন বন্দুকধারী পুলিশকর্মী স্কুলের গেটে মোতায়েন করতে হবে বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। যাতে করে ওই প্রধান শিক্ষক স্কুলের মধ্যে কোন ভাবেই প্রবেশ করতে না পারেন।