কলকাতা ও নদিয়া: সিবিআই তদন্তের নির্দেশ জারি হওয়ার পরই হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে উঠল রাজ্য পুলিশ৷ হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতাকে মাদক খাওয়ানোর অভিযোগ সামনে আসছে৷ সেই সূত্রেই স্থানীয় কলাতলা মোড়ের একটি মনোহারি দোকানের মালিক রসময় বিশ্বাসকে মাদক সরবরাহের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।
অন্যদিকে আদালত সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়াই খুশি নির্যাতিতার পরিবার৷ তাঁরা চাইছেন, ‘‘দোষীদের ফাঁসি হোক।’’ চোখে জল নিয়ে কাতর আবেদন পরিবারের। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর তাদের আস্থা নেই। তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।
সূত্রের খবর, ‘অফিসিয়ালি’ আদালতের নির্দেশ হাতে পাওয়ার পর আজ বুধবারই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল৷ ইতিমধ্যেই তদন্তের যাবতীয় নথি রাজ্য পুলিশকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ তারই ভিত্তিতে হাঁসখালি থানায় গিয়ে যাবতীয় নথি সংগ্রহ করে তদন্তে নামতে চলেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ কথা বলবেন নিহতের পরিবারের সঙ্গে ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে৷ যাবেন, সেই শ্মশানে-যেখানে দিনের পর দিন কাগজ পত্র ছাড়াই চলছিল দেহ পোড়ানোর কাজ!
বস্তুত, হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য পুলিশের ওপর তাদের আস্থা নেই। তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যেই হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত সহ গ্রেফতার মোট দু’জন। মঙ্গলবার মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহয়া মৈত্রও৷ শুভেন্দু, অধীরদের অভিযোগ ছিল, তদন্তের নাম করে নিহত, নির্যাতিতার পরিবারকে হেনস্থা করছে রাজ্য পুলিশ৷ তাঁদের সেই দাবি কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সন্ধ্যের দিকে কলকাতা হাইকোর্ট মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ জারি করে৷ স্বভাবতই নির্যাতিতার পরিবার থেকে গ্রামবাসীদের একাংশ নতুন করে আশার আলো দেখছেন৷