বিশ্বভারতীর ৫০ মিটারের মধ্যে ধরনা নয়, একই নির্দেশ বহাল হাই কোর্টে

বিশ্বভারতীর ৫০ মিটারের মধ্যে ধরনা নয়, একই নির্দেশ বহাল হাই কোর্টে

47b689208281f458ed31b26b5b1f700e

কলকাতা: বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায়  রাজ্যকে কলকাতা হাই কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশ কার্যকর করতে বলল আদালত৷ গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, উপাচার্যের বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও মঞ্চ তৈরি করা যাবে না। কোনও ভাবেই তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যাবে না। আন্দোলনের জেরে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন বিঘ্নিত না হয়৷ তেমনটা হলে  পুলিশকে ব্যাবস্থা নিতে হবে। এদিন সেই নির্দেশই কার্যকর করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ 

আরও পড়ুন- গ্রামে যাননি চার বছর! অভিষেকের নির্দেশে পদ গেল প্রধানের

এদিকে, বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মামলাটি ব্যক্তিগত ভাবেই করেছেন৷ তবে হাইকোর্টে সেই মামলা সই করেছেন বিশ্ব ভারতীর রেজিস্ট্রার। এটা কি ভাবে সম্ভব?  সেই প্রশ্ন তুলে মামলা খারিজের আবেদনও করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, আদালতে পুলিশের দাবি, ১৩ জন পুলিশ কর্মী তাঁর ব্যাক্তিগত নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে। 

আদালত পুলিশের দাবি মানতে নারাজ। আদালতের বক্তব্য, কত জন পুলিশ দেওয়া হয়েছে সেটা বড় কথা নয়, তারা কতটা সৎ ভাবে আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করতে প্রস্তুত সেটাই বড় কথা। এই বিষয়টি রাজ্যকে মাথায় রাখতে হবে।  তিন সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে। তার আগে রাজ্য ও মামলার অন্যান্যদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ 

এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আদালতে এসেছেন। তাঁর অভিযোগ ২৩ নভেম্বর অফিসে ঢিল ছোঁড়া হয়। পুলিশকে জানানোর পরেও কোন কাজ হয়নি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ব্যানার, পোস্টার সরিয়ে ফেলা এবং তিনজন পুলিশকর্মীর নিরাপত্তার কাজ দেখভালের নির্দেশ দেন৷ তা সত্ত্বেও সেন্ট্রাল লাইব্রেরির বাইরে ধরনা চলছে। ঘেরাও উঠেছে শনিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধরনা চলছে। আদালত অবমাননার মামলা করেননি কেন?” উপাচার্যের আইনজীবী আদালতে বলেন, “এরা আলাদা আন্দোলনকারী সে কারণেই অবমাননার মামলা করা হয়নি।” এরপর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়ে দেন, মান্থার নির্দেশ বহাল থাকবে।