জোটেনি চাকরি, কলেজের সামনে চায়ের পসরা সাজিয়ে গ্র্যাজুয়েট ছাত্রী

জোটেনি চাকরি, কলেজের সামনে চায়ের পসরা সাজিয়ে গ্র্যাজুয়েট ছাত্রী

c2b1f5c714f54cc1e7cfc07fb89fec6a

কলকাতা: গ্র্যাজুয়েট হয়েও মেলেনি চাকরি। তাই অগত্যা চায়ের পসরা সাজিয়ে নিজের জীবন শুরু করলেন স্নাতক পাশ তরুণী প্রিয়াঙ্কা গুপ্তা। আপাতত বিহারের পাটনায় কলেজের বাইরে চুটিয়ে চা বিক্রি করছে অর্থনীতিতে স্নাতক প্রিয়াঙ্কা। 

আরও পড়ুন- ৪ বছরেও আদালতের নির্দেশ কার্যকর নয়! মুখ্য ও অর্থ সচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাই কোর্টের

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ করেন৷ এরপর টানা ২ বছর চাকরির চেষ্টা করে সে। তবে লাভের লাভ কিছু হয়নি। তাই চায়ের দোকান দিয়ে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি নিজেকে উদাহরণ হিসেবেও তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি। আর তাঁকে নিয়ে চর্চায় আসছে ‘চা-ওয়ালি’ শব্দটি। তবে এই পেশায় যুক্ত হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি নন, প্রফুল্ল বিলোরইকে নিজের গুরু হিসাবে মেনেছেন প্রিয়াঙ্কা।  প্রফুল্ল বিলোরই হলেন ‘এমবিএ চাওয়ালা’র কর্ণধার। মধ্যপ্রদেশের এক কৃষক পরিবারের ছেলে। যিনি ‘এমবিএ চাওয়ালা’ নামে চায়ের দোকান খুলে আজ কোটিপতি। আর তাঁর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। 

প্রিয়াঙ্কার দোকানে বিভিন্ন স্বাদের চা পাওয়া যায়৷ কুলহড় চা থেকে পান চা-সবই হাজির তাঁর পশরায়৷ ১৫ থেকে ২০ টাকা দামের মধ্যে গলা ভেজাতে পারেন চাপ্রেমীরা৷ মেনুকার্ডেও রয়েছে বিশেষ বার্তা৷ তাতে লেখা, ‘লোক ক্যায়া সোচেঙ্গে অগর ইয়ে ভি হাম সোচেঙ্গে তো লগ কেয়া সোচেঙ্গে৷ সেইসঙ্গে লিখেছেন, ‘শোচ মত…চালু কর দে’, অর্থাৎ না ভেবে শুরু করে দে৷

এদিকে প্রিয়াঙ্কার এই প্রচেষ্টা দেখে সাধুবাদ জানিয়েছন নেটিজেনরা। অনেকে বলেছেন, ‘আগামিদিনে এই মেয়েটি অনেককে চাকরি দেবে’।