কলকাতা: রাজ্যপালকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদ থেকে সরাতে চায় সরকার। রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার একটি প্রস্তাব বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হয়েছে। এই খবরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্যে। তবে আজ আরও একটি খবর কৌতূহল বাড়িয়ে দিল। জানা গিয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’ পদ থেকেও সরানো হতে পারে রাজ্যপালকে। তাঁর জায়গায় পারেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এমন সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল নয়, মুখ্যমন্ত্রীই হবেন আচার্য! অনুমোদন মন্ত্রিসভার
সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে নবান্নে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে তাতে এ নিয়ে এক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভায়, নবান্নের তরফেও ব্যাপারটিতে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। দু’দিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে যত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তার আচার্যপদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাজ্যের মন্ত্রিসভা সর্ব সম্মতভাবে গ্রহণ করেছে। এটা বিধানসভায় বিল হিসেবে পেশ করা হবে। তারপর আইন হিসেবে কার্যকর হবে। এখন তিনি নিজেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের জায়গায় ‘ভিজিটর’ পদে আসতে পারেন এমন সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত, ২০১০ কেন্দ্রীয় সরকার একটি কমিশন গঠন করে। সেই কমিশন সমস্ত রাজ্যগুলোকে রেকমেনডেশন পাঠায়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আচার্য পদে রাজ্যাপালকে না রেখে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করা যেতে পারে। যদিও সেই সময় কোনও রাজ্যই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। ২০২২ সালে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রিসভা। এবার এই ‘ভিজিটর’ পদ নিয়ে তরজা তুঙ্গে। তবে রাজ্যপালকে সরিয়ে এই পদে শিক্ষামন্ত্রীকে আনার সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। অনেকের মতে, আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী, ভিজিটর পদে শিক্ষামন্ত্রীকে বসানো হলে শিক্ষাঙ্গন সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক আখড়া হয়ে যাবে।