কলকাতা: গতকাল নেতাজি ইন্ডোরে যে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে নানা প্রশ্ন করে কার্যত ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি নাম নেন রাজ্যপালের। আসলে শিল্প প্রতিষ্ঠানে তোলাবাজির অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃস্থানীয় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই প্রসঙ্গ উঠে আসতেই কিছুটা ক্ষুব্ধ হন মমতা। আর এই গোটা বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি দাবি করেন, পুলিশের মেরুদণ্ডে আঘাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় সেক্সটরশনের ফাঁদ! ভুল পদক্ষেপ করলেই সমূহ বিপদ
নেতাজি ইন্ডোরে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রকাশ্যেই কড়া ভর্ৎসনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেছিলেন, ওই জেলায় কি তাঁর কাজ করতে ভয় করছে? রাজ্যপাল কি তাঁকে ফোন করছেন? উত্তর না শুনেই মমতার বার্তা ছিল, সে যেন মনে রাখে যে সে রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে, অন্য কারোর জন্য নয়। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং টুইটারে এর ভিডিও শেয়ার করে রাজ্যপাল লেখেন, ”কী উদ্বেগজনক দৃশ্য! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইছেন, ‘রাজ্যপাল কি আপনাকে ফোন করেন’? এই ঘটনায় ওপর অবিলম্বে নজর দেওয়া উচিত। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের মেরুদণ্ডের ওপর আঘাত করেছেন।” এদিকে, গোটা বিষয় নিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া ছিল, মুখ্যমন্ত্রী এমনভাবে বলছেন যেন পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করবে। পুলিশ রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করে। তিনি আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে চাপ দিচ্ছেন তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য।
আসলে গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি জেনেছেন অই জেলায় কেউ দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পুলিশ চুপ। তারা কোনও কাজ সেখানে করছেন না। গোটা বিষয়ের ক্ষেত্রে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার শুধু বলেন, যে তারা তদন্ত করছেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পালটা ঘুরিয়ে বলেন, যারা দাঙ্গা করে তারা হিন্দু বা মুসলিম, কোনও ধর্মেরই নয়। কোনও কোনও রাজনৈতিক নেতা পিছন থেকে ইন্ধন দেয়, তাই দাঙ্গা হয়।