কলকাতা: এক সাংসদ সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন। বিচার ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ করছেন। নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়। তিনি যে বিষয়টি মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না, তা তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে তিনি জানান, মুখ্যসচিবকে এই নিয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার হলদিয়ায় শ্রমিক ইউনিয়নের সভা থেকে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, এক সাংসদ প্রতিষ্ঠানিক বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। এসএসএসি দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল যথেষ্ট অস্বস্তিতে। পাশাপাশি সিবিআই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের স্কুলে চাকরি পাওয়া নিয়েও তদন্ত করছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দুবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে তিনবার সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। তবে এই বিষয়ে তিনি মোটেই উদ্বিগ্ন নন বলেই রাজ্যপাল মন্তব্য করেছেন। তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে তিনি কিছুটা অবাক হয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনায় মোটেই উদ্বিগ্ন নই। অবাক হয়েছি। যতক্ষণ না হাতে কাগজ পাচ্ছি এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে রাজ্য সরকার বিল আনলে তাঁকে স্বাক্ষর করতে হবে। সেই সময় তিনি উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।
কয়েকদিনের দার্জিলিং সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি শিক্ষাব্যস্থা নিয়ে রাজ্যসরকারকে এক হাত নেন। তিনি বলেন, মেধাতালিকায় নাম না থাকার পরেও চাকরি হয়ে গেল এসএসসিতে। এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতি হয়েছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগেও চরম দুর্নীতি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বহু জায়গায় নিয়ম না মেনে উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগ ব্যবস্থাটাই দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ওপর প্রভাব পড়ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।