ভোটে চরম হিংসা! সকালেই নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের

ভোটে চরম হিংসা! সকালেই নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের

কলকাতা: রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় প্রথম থেকেই আওয়াজ তুলে এসেছেন। তিনি দাবি করেন যে, বাংলার গণতন্ত্র নেই। এর আগের একাধিক নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এই একই কথা বলেছেন তিনি। গতকাল ১০৮ পুরসভার নির্বাচন ছিল। গতকালও রাজ্যে ব্যাপক হিংসা হয়েছে বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাতেও ফুটে উঠেছে সেই ছবি। এবার সেই ইস্যুতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আজ সকাল ১০ টায় তাঁকে রাজভবনে তলব করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে রুশ ট্যাঙ্কবাহিনী! রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন সেনার আত্মসমর্পন?

পুরসভার ভোট এবং হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, এমনই মত তাঁর। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে দেখা করতে বলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গতকালের ভোটে এমন পরিস্থিতি কেন হল সেই ব্যাপারে তিনি জানতে চাইবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে ভোট প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ জমা পড়েছে ১ হাজারটি, অশান্তির আশঙ্কায় ৭৮৭ জনকে এবং নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কমিশনের এও দাবি যে, অভিযোগ পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।

আসলে শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসও দাবি শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি করেছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের বহু ক্যামেরায় যে চিত্র ধরা পড়েছে সারাদিনের তা কিন্তু অন্য কথাই বলছে। রাজপুর সোনারপুর থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, মেদিনীপুর, ভাটপাড়া সব জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের যে ২০টি জেলায় ভোট হয়েছে, বেশিরভাগ জায়গা থেকেই বিজেপি অভিযোগ করেছে যে তাদের কর্মী, প্রার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য জানিয়েছেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যাতে মানুষ শান্তিভাবে ভোট দিতে পারে। কোনও অশান্তি হলে তার জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ঠিক সেই নির্দেশ মেনেই কাজ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *