শিলিগুড়ি: গত ভোটের নিরিখে যেখানে আপাত দৃষ্টিতে পিছিয়ে ছিল ঘাসফুল, সেই শিলিগুড়িতেও এবার বিপুল জয় পেয়েছে তারা। জিতেছেন ঘাসফুল প্রার্থী গৌতম দেব এবং তিনিই মেয়র হতে চলেছেন শিলিগুড়ির এমন ঘোষণা ইতিমধ্যেই করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে জয়ের পর নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যকে খোঁচা দিলেন তিনি। উল্লেখ্য সেখানে সিপিএম দ্বিতীয়ও হতে পারেনি, তৃতীয় হয়েছে।
আরও পড়ুন- BREAKING: চার পুরসভা ভোটের ফল ঘোষণার মাঝেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ BJP
এদিন গৌতম অশোককে একহাত নিয়ে বলেন, সকলের থেমে যাওয়ার একটা বয়স আছে। অশোক ভট্টাচার্যের ৭৩-৩৪ বছর বয়স হল, এবার থেমে যাওয়া উচিত। শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন গৌতম। ৩ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন। সেই জয়ের পরেই তাঁর যে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। নিজের জয় সম্পর্কে কথা বলতে গিয়েও তিনি বলেন, জীবনের একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। এই জয়ের জন্য শিলিগুড়ি বাসীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ি পুরসভায় মোট আসন ৪৭। সেখানে তৃণমুল পেয়েছে ৩৭ টি আসন। তাদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে বিজেপি। নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৫ টি আসন। এদিকে, বামেরা পেয়েছে ৪ টি আসন এবং কংগ্রেস পেয়েছে ১ টি মাত্র আসন।
আজ প্রথমে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য৷ ৩০০-র বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি৷ এদিন পরাজিত হওয়ার পর অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটে একটা বিপর্যয় হয়েছে। আমাদের যে ভোটগুলি বিজেপিতে গিয়েছিল, সেই ভোট আমাদের কাছে ফেরত আসার বদলে তৃণমূলের বাক্সে ঢুকে গিয়েছে। আমাদের পলিটিক্যাল রিজেকশন হয়েছে। তবে কমিউনিস্ট পার্টি করি, হতাশায় ডুবে গিয়ে, ঘরে বসে গেলে হবে না।’’ প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পরেই নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাম জমানার দাপুটে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অনুরোধে শিলিগুড়ি থেকে ফের ভোটে দাঁড়ান তিনি৷