‘টাকা ফেরত দিন দাদা’, তৃণমূল নেতা পা ধরে আর্জি টাকার বিনিময়ে শিক্ষক হতে চাওয়া প্রার্থীর

‘টাকা ফেরত দিন দাদা’, তৃণমূল নেতা পা ধরে আর্জি টাকার বিনিময়ে শিক্ষক হতে চাওয়া প্রার্থীর

বোলপুর: প্রাথমিক নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই একের পর এক আর্থিক লেনদেনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে৷ এবার অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমে সামনে এল টাকা দিয়ে নেতার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ৷ যার জেরে এলাকার রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷

বীরভূমের ইলামবাজার থানার জয়দেবের বাসিন্দা আশিস সিংহের অভিযোগ, ২০১২ সালে প্রাথমিকে চাকরির জন্য তিনি ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা রতন মণ্ডল ওরফে বুদ্ধদেব মণ্ডলকে৷ রতনের বাড়ি শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসলামপুর গ্রামে৷ অভিযোগ, তৎকালীন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন এই রতন৷ এদিন, সেই টাকা ফেরত চেয়ে কার্যত রতন মণ্ডলের পা ধরতে দেখা যায় আশিসকে৷ ইতিমধ্যে নেতার পা ধরে আশিসের টাকা ফেরতের আর্জির সেই ভিডিও ভাইরাল৷
যদিও রতন মণ্ডলের পালটা দাবি, ‘‘আমি প্রাইমারি চাকরি করে দেব বলে কোনও টাকা নিইনি৷ ন’লাখ টাকা ধার নিয়েছিলাম৷ ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা শোধ করেছি৷ বাকি টাকাও শোধ দেব৷ দু’মাস সময় চেয়েছি৷ টাকাটা দিতে পারছি না বলে হয়তো আমাকে ফাঁসাতে চাকরির গল্প ফাঁদা হচ্ছে৷’’ এরপরই কথায় কথায় তৃণমূল নেতা রতন বলে ফেলেন, তিনি তাঁর নিজের মেয়ের প্রাথমিকে চাকরির জন্য টাকা ধার নিয়েছিলেন৷ রতনের কথায়, ‘‘আমার পরিচিত দুর্লভ মণ্ডলের মাধ্যমে দলের বাসাবারার অঞ্চল সভাপতি রফিককে টাকা দিয়েছিলাম আমার মেয়ের প্রাইমারি চাকরির জন্য৷ তবে চাকরি হয়নি৷ তাই কিছু টাকা ফেরৎও দিয়েছে৷’’

দু’তরফের ওই ভিডিও সামনে আসতেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে৷ বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূলের জমানায় টাকার বিনিময়ে যে চাকরি হয় এবং নেতা, তার ওপরের নেতা সবাই যে এই আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত তা এই নেতার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট৷ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বা জেলাস্তরের কোনও নেতার প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *