রামপুরহাট: রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুর পর তোলপাড় বগটুই গ্রাম। অগ্নিদগ্ধ হয়ে একাধিক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকেই গ্রাম ছাড়া হচ্ছেন অনেকে। রাত নামতেই আতঙ্ক বাড়ছে, চারিদিক খা খা করছে। আগের রাতের স্মৃতি ভিড় করে আসছে সকলের মধ্যে। তাই আশঙ্কা এবং আতঙ্ক দুইই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এই অবস্থায় আজ গ্রামে যাচ্ছে ফরেনসিক টিম। আবার বিজেপির প্রতিনিধি দলও আজ পৌঁছচ্ছে সেখানে।
আরও পড়ুন-কী কারণে আগুন স্পষ্ট নয়, উপপ্রধান খুনের ঘটনায় ডিজিপি
সোমবার রাতে ঠিক কী হয়েছিল? কী ভাবে অত মানুষের মৃত্যু হল? আগুনই বা লাগল কী ভাবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আজ বগটুই যাচ্ছে ফরেনসিক টিম। পোড়ো বাড়ি থেকে কোনও তথ্য মেলে কিনা, কোনও আঙুলের ছাপ বা কিছু পাওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টা চালাবে তারা। পাশাপাশি কী ভাবে আগুন লেগেছে সেটাও স্পষ্ট করার চেষ্টা করবে ফরেনসিক টিম। তাদের রিপোর্ট কী আসে সেটাই এখন দেখার, কারণ এই রিপোর্টের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, আজই রামপুরহাট যাচ্ছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ অর্জুন সিং। পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঠিক করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এদিন মনোজ টিজ্ঞার নেতৃত্বে ২ টি বাসে করে রামপুরহাট যাচ্ছে বিজেপি। সেই দলের সঙ্গেই যোগ দেবেন শুভেন্দু, অর্জুনরা।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের পুড়ে যাওয়া বাড়ি এবং এলাকা পর্যবেক্ষণের পর সিট বলছে, দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছিল। কারা লাগিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা এই গ্রাম ও পাশের গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু এই ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিরোধীরা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও শাসক শিবিরের বক্তব্য, এটা বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।