বাঁকুড়া: খেতের ফসল, গেরস্থের বাড়ি তো ছিলই৷ এবার হাতির নজরে গ্রামের বিয়ে বাড়িও৷ হঠাৎই বিশালাকাল চেহারার হাতিটিকে দেখে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেকেই চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শুরু হয় গ্রাম জুড়ে ছোটাছুটি। বেঁধে যায় হুলুস্থুল কাণ্ড৷ পরে মানুষের তাড়া খেয়ে সেখান থেকে সবজি বাজারের দিকে চলে যায় হাতিটি। সেখানে পরপর দু’টি দোকান ভেঙে দোকানে রাখা সবজি খেয়ে ফেলে।
মঙ্গলবার রাতভর দলমার একটি দামালের এমনই তাণ্ডবের সাক্ষী থাকল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাট বাজার। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত প্রায় ন’টা নাগাদ গঙ্গাজলঘাটি বাজারে চলে আসে হাতিটি পরে রাতভর কখনো স্থানীয় একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে আবার কখনও স্থানীয় সবজি বাজারে দাপিয়ে বেরাল হাতিটি। পরে বন দফতর ও এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে হাতিটি পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে চলে যায়। এই ঘটনায় রাতভর কার্যত হাতির আতঙ্ক তাড়া করে বেরাল গঙ্গাজলঘাটি এলাকার মানুষকে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হাতি তাড়াতে এলাকার মানুষ বারবার বন দফতরকে তলব করলেও বন কর্মীরা অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বন কর্মীরা হাতিটিকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে পাঠালে এলাকায় স্বস্তি ফেরে। হাতির হানা নিয়ে এদিন মুখ খুলতে চায়নি বন দফতর। তবে বন দফতরের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা রবীন দাস, মানা গরাইয়েরা৷ তাঁরা বলেন, ‘‘আগে বছরে একবার হাতির হানা হত৷ এখন বছরভরই হাতির হানা হচ্ছে৷ তবু বন দফতর কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের৷ ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও৷’’