বাড়িতেই ভাইয়ের পচা মৃতদেহ আগলে দাদা-বৌদি, এলাকায় চাঞ্চল্য

বাড়িতেই ভাইয়ের পচা মৃতদেহ আগলে দাদা-বৌদি, এলাকায় চাঞ্চল্য

বাঁকুড়া: কলকাতার রবিনসনস্ট্রিটের ছায়া এবার বাঁকুড়ায়। বাড়িতে ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন দাদা বৌদি। মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হতেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীদের তৎপরতায় শুক্রবার রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকালে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। 

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম সনৎ কর্মকার। তিনি অবিবাহিত। দাদা অশোক কর্মকার ও বৌদির সঙ্গে থাকতেন। মৃতদেহ দেখে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে, সনৎ কর্মকারের দুই দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃতের দাদা দাবি করেছেন, তাঁর ভাইয়ের শুক্রবারই মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, এই বিষয়ে অশোক কর্মকার কোনও স্পষ্ট তথ্য দেয়নি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাঁকুড়া শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দোলতলা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। 

প্রতিবেশীরা জানান, সনৎ ও তাঁর দাদা অশোক পুরনো টেপ রেকর্ডার, টিভি সারানোর কাজ করতেন। তাঁরা নিজেদের বাড়িতে থাকতেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তেমন কোনও ভাব ছিল না। তবে গত কয়েকদিন ধরে সনৎকে দেখা যাচ্ছিল বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধে থেকে দোলতলা এলাকা পচা দুর্গন্ধে ভরে যায়। দুর্গন্ধের অনুসন্ধান করতে করতে প্রতিবেশীরা অশোক কর্মকারের বাড়িতে পৌঁছন। সেখানেই জানতে পারেন সনৎ কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িতে মৃতদেহ রেখে দিয়েছেন। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। শুক্রবার রাতে পুলিশ সনৎ কর্মকারের মৃতদেহ উদ্ধার করে। বর্তমানে দেহ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে দুই দিন আগে সনৎ কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে মৃতের দাদার দাবি, শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। একবেলার মধ্যে দেহটি কীভাবে পচে দুর্গন্ধ বের হতে পারে বলে প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর সনৎ কর্মকারের মৃত্যুর বিষয়ে  সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। 
চলতি মাসের শুরুর দিকেই নিউটাউনে এই ধরনের খবর উঠে আসে। নিউটাউনের সিডি ব্লকে একটি ব্লকে চার-পাঁচ দিন ধরে মৃত ছেলে-মেয়ের মৃতদেহ আগলে রাখেন বৃদ্ধা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − three =