কলকাতা: কুবেরের ধনকেও হার মানাবে অর্পিতার ফ্ল্যাটের ছবি৷ ৪০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হয়েছে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা পর্যন্ত এখনও অনেক টাকার প্যাকেট খোলা বাকি৷ সেইসব টাকা ধরলে অঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেই নিয়ে রীতিমতো জল্পনা চলছে।
দক্ষিণ কলকাতায় অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি টাকা। এদিন উত্তর কলকাতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ৪০ কোটি টাকার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বলা ভালো, নোটের গণনা চলছে। চার রাউন্ড গণনার পরে এই অঙ্ক এসে দাঁড়িয়েছে। আরও টাকা উদ্ধার হবে বলে জানা যাচ্ছে।
ব্যাঙ্ককর্মীরা কার্যত টাকার উপর উপুড় হয়ে পড়েছেন। এত টাকা শেষ কবে তারা গুনেছেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। রাত ১১ টা পেরিয়ে যাওয়া অবধি সময়ে চার ঘন্টা ধরে চলছে এই টাকা গণনা। ইতিমধ্যেই টাকা নেওয়ার জন্য কন্টেনার ট্রাক এসে গিয়েছে। গাড়িতে ২০ টি ট্রাক আছে বলে খবর। সেই গাড়িতে টাকা নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু কখন সেই টাকা গোনা শেষ হবে, সেই সময় নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। গোটা এলাকা নিরাপত্তার কড়া চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছে।
প্রথম দফায় ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। চতুর্থ দফায় সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটি। তিন কেজি সোনার বাট উদ্ধার হয়েছে। তার বাজারদর ২ কোটি টাকার উপরে। কোথায় গিয়ে এই অঙ্ক দাঁড়াবে? সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন এই ঘটনায়। লজ্জাজনক পরিস্থিতি বলে তিনি মনে করছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দোষ, এই কথাটা কেন বলছেন না, এই কথাও কুণাল ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছে।
চলতি বছরে মাত্র দুবার অর্পিতা বেলঘরিয়ার এই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। তাও রাত্রিবাস করেননি। কিছু সময় থেকে চলে গিয়েছেন। এই দুদিন কি অর্পিতা তাহলে টাকা ও সোনা রাখতেই এসেছিলেন? সেইসময় কি অর্পিতার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল? তার সঙ্গে কি বড় লাগেজ ব্যাগ ছিল? সেইসব প্রশ্ন উঠে আসছে৷ প্রয়োজনে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। এত বিপুল অঙ্কের টাকা তো এক – দুদিনে জমা করা সম্ভব নয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই টাকা এনে জমানো হত। ওয়ার্ডরোবে টাকা সাদা মোটা কাগজে মুড়িয়ে থরে থরে সাজানো রয়েছে। নিখুঁত সেই প্যাকেটের মোড়ক। প্রশ্ন একটাই, দুর্নীতির অঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?