কলকাতা: SSC দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। এসএসসি দুর্নীতির আর্থিক কেলেঙ্কারীর দিকটি তদন্ত করতে আরতে আসরে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। এসএসসি দুর্নীতি মামলার বার বার অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সেই প্রেক্ষিতেই সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করল ইডি।
ইডি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে এসএসসি মামলায় দায়ের করা চারটি এফআইআর কপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সামনে রেখেই ইডি এসএসসি দুর্নীতির দিকগুলো খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ইডির সদর দফতর থেকে কলকাতায় চিঠি পাঠানো হয়। তারপরেই তদন্তের তোড়জোড় শুরু করে ইডি। এসএসসি মামলার যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠান সংস্থার আধিকারিকেরা। তাঁরা বাগ কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন বলেও জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান এসএসসি দুর্নীতি মামলায় কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ হয়েছে। ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির। রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে একাধিকবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। সিবিআই দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরেশ অধিকারীর পাশাপাশি এসএসসির একাধিক আধিকরিকদের সম্পত্তির তথ্য খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। সেই বিষয়েই ইডি তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা যায়, ককেবল গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা নয়, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পাওয়ার বিষয়টি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কতটা জানতেন, সেই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় অনৈতিক আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, সেই বিষয়েও পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানা যায়।আধিকারিকরা তার জন্য চার পাতার প্রশ্ন তৈরি করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, সিবিআইয়ের জেরার মুখে তিনবার পড়তে হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। নম্বর কম থাকার পরেও তাঁর মেয়ের নাম কী করে মেধা তালিকার শীর্ষে চলে গেল। তাঁর মেয়ে কী করে চাকরি পেলেন, এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত এই বিষয়ে পরেশ অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। সিবিআই জেরা শেষে পরেশ অধিকারি কোচবিহারে নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।