বাংলায় কথা বলতে না পারলে বিহারে চলে যান, প্রসূতিকে চিকিৎসকের হেনস্থার অভিযোগ!

বাংলায় কথা বলতে না পারলে বিহারে চলে যান, প্রসূতিকে চিকিৎসকের হেনস্থার অভিযোগ!

কল্যাণী: বাংলাতে কথা বলার জন্য মাঝে মাঝেই রাজ্যের বুকে হেনস্থার শিকারের খবর শুনতে পাওয়া যায়। এবার বাংলা কথা বলতে না পারার জন্য হেনস্থা হতে হল এক প্রসূতিকে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তীর খোদ চিকিৎসকের দিকে। প্রসূতিকে জবাব, বাংলায় কথা বলতে না পারলে বিহারে চলে যান। এরপরেই কল্যানীর ওই হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়।

জানা গিয়েছে ওই প্রসূতি উত্তর ২৪ পরগণার জগদ্দল কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা। প্রসূতি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁকে কিছু পরীক্ষার জন্য কল্যানী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষার পরে সেখানেই প্রসূতিকে ভর্তি করানোর পরিকল্পনা ছিল পরিবারের। ওই হাসপাতালেই সিজারের পরিকল্পনা ছিল।  অভিযোগকারিনী জানিয়েছেন, তিনি টেস্টের পর হাসপাতালে বসে ছিলেন। সেই সময় এক চিকিৎসক এসে তাঁর শরীরের কথা জানতে থাকেন। তিনি  হিন্দিতে তার উত্তর দিতে থাকেন। সেই সময় ওই চিকিৎসক বাংলায় উত্তর দেওয়ার জন্য বলেন। প্রসূতি জানান, তিনি বাংলা জানেন না। এরপরেই চিকিৎসক বলেন, বাংলায় কথা বলতে না পারলে বিহারে চলে যান।  প্রসূতি এমনটাই অভিযোগ করেছেন। সেই সময় রোগীর পরিবার চিকিৎসকের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হয়ে পড়েন।

এর জেরে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। বচসার ভিডিও করার সময় মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মোবাইল কেড়ে নেওয়ার সময় ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বলে জানা গিয়েছে। রোগীর পরিবার কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অন্যদিকে, রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার অচিন্ত্য গড়াই বলেন, হিন্দি ভাষা কোনও সমস্যা নয়। ভাষাগত কোনও কারণে সমস্যা হয়েছিল। রোগীর পরিবার চিকিৎসকে মারতে গিয়েছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।  ঘটনার তদন্ত কল্যাণী থানার পুলিশ শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =