কলকাতা: এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৫-৭৬ বার বন্ধ ডেকেছেন। বন্ধের রাজনীতিকে তিনি জনপ্রিয় করেছিলেন। আজকে বলছেন বন্ধ চলবে না। আনিস হত্যা নিয়ে পথে নেমেছে বিরোধীরা৷ সেই সময় তিনি বলেছেন বন্ধ বরদাস্ত করবেন না। কিন্তু তিনি হাইওয়ে অবরুদ্ধ করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। টাটার কারখানা বন্ধ করতে হাইওয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আজ আপনি ভালো হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের ডিস্টার্বটিভ পলিটিক্স তো আপনিই শুরু করেছিলেন।
ঠিক এই ভাষাতেই সোমবার সকালে নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে এসে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ একই সঙ্গে দিলীপের তোপের মুখে আদালতও৷ বলেছেন, ‘‘অনেকের ধারণা ছিল কোর্টে যাওয়া হয়েছে। কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে পুলিশকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা। তারা কথাও দিয়েছিল শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাবে। দিন শেষ হতে হতে ভয়ংকর রূপ নেয়৷ বোম গুলি টিয়ার গ্যাস চলেছে, রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে৷ পুলিশ মার খেয়েছে, সাংবাদিক মার খেয়েছে, বিরোধীরা তো মার খেয়েইছে৷ সেইজন্য রাস্তা অবরোধ করে টায়ারও জ্বালিয়েছে। যত রকম হিংসা হতে পারে সবই করল৷ সার্বিকভাবে যে বিধানসভা গুলোতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছিল, সেগুলোতে পৌর নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হয়েছে। টিমসি হিংসা ছাড়া নির্বাচন জিততে পারবে না এটা নিশ্চিত। ওনারা প্রথম থেকে ঠিক করে নেয় মারপিট করে ভোট লুঠ করবে।’’
বিজেপি বনধকে সমর্থন করে না, জানিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘এছাড়া কোনো রাস্তা নেই। গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই। পুলিশ প্রশাসন এক তরফা কাজ করছে। কোর্ট ও ওদের ওপর নির্ভর করছে। মানুষ ন্যায়ের জন্য কোথায় যাবে। বিজেপি নৈতিকভাবে বন্ধের সমর্থন করে না। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় এছাড়া কোনো রাস্তা থাকে না। তাই এই রাস্তায় আমাদের কে হাঁটতে হচ্ছে।’’