কলকাতা: ইউনেসকো-র তরফ থেকে বাংলার দুর্গাপুজোকে সম্মান জানানো হয়েছিল আগেই৷ তা উদ্যাপনের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অথচ ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে৷ স্বাভাবিকভাবেই তেতে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি৷ এহেন আবহে পুরনো কথা মনে করিয়ে আমন্ত্রণ বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
রাজ্যের বিরুদ্ধে এনেছেন জোরাল অভিযোগ, ‘‘এখানকার রাজ্য সরকার তো কোনও অনুষ্ঠানে আমাদের কোনও বিধায়ক, সাংসদকে ডাকেন না৷ সরকারের কোনও কমিটিতে আমাদের রাখেও না, ডাকেও না৷ সামান্য সৌজন্যটুকু দেখায় না। তবু আমাদের মনে কষ্ট নেই। কারণ, এদের কাছ থেকে আমরা কিছু আশা করি না।’’ এরপরই নাম না করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে দিলীপের কটাক্ষ, ‘গতবারে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে কেউ কেউ কেউ জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী অপমানিত হয়েছিলেন৷ বলা হয়েছিল, ডেকে অপমান করা হয়েছে৷ আর এবারে দেখুন, ‘নেমন্তন্ন পায়নি বলে যারা হাহাকার করছে! প্রোগ্রামে ডাক পাওয়া চাই, গেলে আবার অপমানিত বোধ করেন! না পেলে কষ্ট হয়, হজম হয় না!’’
বস্তুত, দিলীপ একথা বললেও ওয়াকিবহাল মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, বাংলার দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক আসনে বসাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর উদ্যোগেই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিভাগে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ সেই আবেদন খতিয়ে দেখে বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছিল বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা৷ স্বাভাবিকভাবেই এহেন উৎসবে রাজ্যকে ব্রাত্য রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই৷ গেরুয়া শিবিরের নেতার অবশ্য বলছেন, সরকারি অনুষ্ঠান৷ ফলে কে ডাক পাবে না পাবে, সেটা ওরাই ঠিক করেছে৷ এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই৷