কলকাতা: ইস্যু এসএসসি দুর্নীতি। নাম জড়িয়ে গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে আবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। দুই মন্ত্রীই সিবিআই র্যাডারে। এই নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। কটাক্ষ, আক্রমণের তীর তাদের দিকে ভেসে আসছে বিরোধী শিবির থেকে। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই পদত্যাগ চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নৈতিকতার পাঠ পড়িয়েছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন?
আরও পড়ুন- তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গেই হাঁটছেন অর্জুন সিং! ‘ঘরওয়াপসি’ কি শীঘ্রই
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, নৈতিকতার খাতিরে উচিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা। একজন মন্ত্রী হয়ে যেভাবে তিনি আদালতে দৌড়ে বেরাচ্ছেন তা লজ্জার। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেওয়া উচিত। এমনটাই মনে করেন বিজেপি সাংসদ। তবে এই কথা বলে রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়েছেন তিনি। দিলীপের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস দলটা নীতি-নৈতিকতার ধার ধারে না। তারা নিজেদের দলের লোক বাঁচাতে বাংলার সাধারণ মানুষের টাকা খরচ করছে। আসলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় খোদ রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দিতে। তারপরেই দিলীপের এই মন্তব্য, তাতেই শোরগোল।
যদিও আদালতের একজন বিচারপতি যিনি এই মামলা শুনছেন, তিনিই এমন পরামর্শ দিতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বিশিষ্ট মহলে। বিচারপতির মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর সঙ্গেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কিঞ্চিৎ তর্ক আগেই হয়ে গিয়েছে। তাঁকেই কল্যাণ জানিয়েছিলেন যে, রাজনীতি, ওকালতি দুইই ছাড়তে চান তিনি।