কলকাতা: রাজ্য থেকে দিলীপ ঘোষ থেকে বিজেপি সরিয়ে ভিন রাজ্যে দায়িত্বে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের জন্য বিজেপির কয়েকজন নেতার হাত রয়েছে বলে দাবি দলের একাংশের। এই সময় নাম করে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, আমাকে ছাড়া বাংলায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখান।
নাম না করে সুকান্ত ও শুভেন্দুকে প্রকাশ্যে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ করেন। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ৪০ শতাংশ ভোটে পেয়ে দেখাতে পারলে তাঁদের কথা মেনে নেব। না হলে ভাবব ওঁরাই সেটিং করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে। বিজেপিকে ড্যামেজ করতে চাইছেন। বিজেপি বেড়েছে তাতে সিপিএম বা তৃণমূলের যা কষ্ট হয়েছে, তার থেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে বিজেপির একাংশের। বিজেপির বঙ্গে উত্থানের বড় ভূমিকা রয়েছে দিলীপ ঘোষের। সেই দিলীপ ঘোষকে ভিন রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে নিজের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারলেন না রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
শুক্রবার নাম করে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ বাংলার নেতা, বাংলাতেই থাকবেন। আমাকেও উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব দিয়েছিল দল। তেমনই আটটি রাজ্যের বুথ সশক্তিকরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। সেই কাজ হয়ে গেলে দিলীপদা যেমন বাংলার আনাচে কানাচে ঘোরেন তেমনই ঘুরবেন।
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, দলের পুরনো নেতাদের পক্ষ নেওয়ার জন্য অনেকের কাছেই তিনি খারাপ হয়ে গিয়েছেন। স্পষ্ট মন্তব্যের জন্য তাঁকে দলের অভ্যন্তরে অনেকেই নিতে পারছিলেন না। সেই কারণেই তাঁকে দলের অনেকেই মেনে নিতে পারত না। তাঁর নামে দলের অনেক নেতাই দিল্লিতে অভিযোগ করেছিলেন বলে জানা যায়।
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, তিনি চোখে চোখ রেখে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন। কেউ বললেই তিনি পাল্টে যাবেন, এই ধরনের ধারণা ভুল। পাল্টা তিনি বলেন, ভুল হলে তাঁর নেতৃ্ত্বে দল এতটা এগোত না। নাম না করে দলের সমালোচকদের বলেন, ওইসব লোকেদের কোনও যোগ্যতা নেই। তাদের পাত্তা দিই না। নাম মুখে নিই না।