কলকাতা: ভাঙর থেকে শুরু করে বোলপুর, পিংলা থেকে শুরু করে হাঁসখালি, পরপর রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা। বিরোধীদের তোপের মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বেশিরভাগ ঘটনাতেই তৃণমূলের কেউ না কেউ জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাই অস্বস্তি আরও বাড়ছে রাজ্য সরকারের। এই আবহেই আবার আজ কলকাতা হাইকোর্টে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল সেলের আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান। সব মিলিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলায় তার কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন- BJP-র রিপোর্ট তদন্তকে প্রভাবিত করবে, দার্জিলিং থেকে হুঙ্কার মমতার
এদিন দিলীপ তৃণমূল সরকারকে কড়া নিশানা করে বলেন, বাংলাকে তারা ধর্ষণের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেছে। কোথাও কেউ প্রতিবাদ করলেও তাকে খুন করে দেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে বলা হচ্ছে ছোট ঘটনা। এটাই কি বাংলার মানুষের প্রাপ্য ছিল, প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে যে ঘটনা ঘটেছে তার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, সব প্রশাসনিক বিভাগ দুর্নীতির চরমে পৌঁছে গিয়েছে। বিচারপতি বিরুদ্ধে এই রকম বিক্ষোভ সারা ভূ-ভারতে দেখা যায় না। এক্ষেত্রেই দিলীপের আশঙ্কা, বিচারপতির ওপর শারীরিক আক্রমণ হতে পারে। আর সেটা যদি হয় তাহলে মানুষ কাকে ভরসা করবে এই প্রশ্ন এদিন ছুড়ে দিলেন দিলীপ।
আসলে মঙ্গলবারের পর বুধবারও কলকাতা হাইকোর্টে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। তাদের একাংশের প্রশ্ন, নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কেন ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? সেই প্রতিবাদেই বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কোর্ট বয়কট করেন তৃণমূলের আইনজীবী সেলের সদস্যরা। পরে এই প্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারীদের কার্যত তুলোধনা করে তিনি বলেন, তাঁর নির্দেশে কারোর কোনও রকম আপত্তি থাকলে কেউ সুপ্রিম করতে চলে যেতে পারেন। এখানে বিক্ষোভ দেখিয়ে কোনও লাভ নেই।