কলকাতা: সন্মার্গ কোঅপারেটিভ চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। শুক্রবার রাজুর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। জানা গিয়েছে, ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। এছাড়াও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি এবং বিদেশি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই গ্রেফতারির পর শাসক দল যে আরও বেশি করে অস্বস্তিতে পড়ল তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ইস্যুতে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে তাই সময় নষ্ট করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন- চাকরির নামে প্রতারণার করে ফেরার পার্থ-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা! টাকা ফেরাচ্ছেন দলেরই এক উপপ্রধান
শুক্রবার রাতে হওয়া এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শনিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, সবে শুরু হয়েছে, আরও অনেকে যাবে। শুধু তাই নয়, দিলীপের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’, ধীরে ধীরে অর্ধেক দলই জেলে ঢুকে যাবে! তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ চাইছেন এইসব নিয়ে তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। আর এই তদন্তের ফলেই আস্তে আস্তে অর্ধেক দলটাই জেলে চলে যাবে। অনেক নেতা-মন্ত্রীরাও জেলে যাবেন বলে দাবি করেছেন দিলীপ। ইতিমধ্যেই নিয়োগ মামলায় জেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আবার গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে আবার ইডি জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সব নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ খুবই উত্তেজক।
কয়েক সপ্তাহ আগেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে গিয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেই টাকার ছবি দেখে চক্ষুচড়কগাছ হয়েছিল বঙ্গবাসীর। আর গতকাল হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। এত টাকা তিনি কোথায় পেলেন, এই টাকার উৎস কী, সেই ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেননি রাজু। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থই নয় রাজু সাহানির বাড়ি থেকে খোঁজ মিলেছে থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও। সেখানেও তিনি কিছু টাকা পাঠিয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।