কলকাতা: সিবিআইয়ের দশবার তলবে একবার সাড়া দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন কিন্তু এসএসকেএম ভর্তি নেয়নি। অন্যদিকে, বাড়িতে চিকিৎসক ডেকে ‘বেড রেস্ট’ লিখতে বলেছিলেন নিজেই, এই কথা খোদ ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন। অবশেষে সিবিআই আর সময় নষ্ট করেনি, বৃহস্পতিবার সকালের তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন- রাত থেকেই ‘অ্যাকশন’! পূর্ব পরিকল্পনা করেই অনুব্রতের বাড়িতে সিবিআই
যদিও তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে এই ঘটনায় উল্লাসে মেতেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই টুইট করে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
1.1 A Devil can cite scriptures for his purpose.
The Central investigating agencies have to be cruel with TMC Leader Anubrata Mondal, the goon arrested by CBI in cow-smuggling case. He has ruined many lives in Paschim Banga and tortured people in Birbhum district. pic.twitter.com/WCgpdYwEK3
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) August 11, 2022
পরপর টুইট করেছেন দিলীপ, সঙ্গে দিয়েছেন ভিডিও বার্তাও। তাঁর কথায়, অনুব্রত মণ্ডলের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে, পর আরও অনেকের হতে পারে, এমনও দাবি করেছেন তিনি। একাধিক টুইট করে দিলীপ লিখেছেন, ”অনুব্রত মণ্ডলের খেলা শেষ। দুদিনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আরও অনেকে লাইনে আছে।” দিলীপ আরও বলেন, ”অনুব্রতর মতো একজন মানুষ, যে ভোট পরবর্তী হিংসার মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁকে বাইরে ছেড়ে রাখা একদম উচিত নয়।” তবে মমতা সরকার যে পরে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে পারে এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর কথা, তৃণমূল আইপিএস রাজীব কুমারকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, যিনি সারদা মামলার সঙ্গে জড়িত।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বুধবার একটি চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই চিঠিতে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছিলেন। সুকান্ত মজুমদার চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলকে বারবার গরু পাচার মামলায় হাজিরার নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এই চিঠির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।