কলকাতা: ভারতে প্রথম পেগাসাস আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। দিলীপের আরও বড় দাবি, রাজীব কুমারকে পেগাসাস কিনতে পাঠিয়েছিলেন তিনি। শিলিগুড়িতে ভোটপ্রচারে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি যা নিয়ে এখন তোলাপাড় রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন- অবশেষে কাটল আইনি জট! হাই কোর্টের নির্দেশে বাড়ি ফিরল ব্রুনো!
দিলীপের দাবি, বিরোধী নেতা এমনকী আইএএস, আইপিএসদের ফোনে আড়ি পাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর ঠিক সেই কারণেই ২০১৭ সালে রাজীব কুমারকে দিয়ে পেগাসাস কিনতে পাঠিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পেগাসাস প্রস্তুতকারী সংস্থা সফটওয়্যার বিক্রি করতে প্রথমে রাজি না হলেও পরে তারা মমতার সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় বলেই জানান দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গেই তিনি আরও জানিয়েছেন, ঠিক এই ভয়ের কারণেই অনেক বিজেপি নেতা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারেন না। তাদের হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতে হয়। সম্প্রতি পেগাসাস নামক একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভারতের একাধিক বিরোধী দলনেতা, মন্ত্রী সহ ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিক, শিল্পপতি, সমাজকর্মী ও বিচারপতিদের ফোনে আড়ি পাতার মত ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। সেই তালিকায় একাধিক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকরা ছিলেন আবার ছিলেন রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোরর মত ব্যক্তিত্ব।
আসলে ‘পেগাসাস’ হচ্ছে ইজরায়েলী সংস্থা এনএসও-র তৈরি একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতা যায় বা ফোন হ্যাক করা যায়। এই প্রজুক্তি ব্যবহার করে সহজেই যে কোনও ফোনের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে দেওয়া সম্ভব। তবে অবশ্যই ফোনটি স্মার্টফোন হতে হবে। এর মাধ্যমে ফোনের ভয়েস কল ও হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা-সহ সমস্ত তথ্য কয়েক মিনিটের মধ্যে হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। সবথেকে আতঙ্কের বিষয়, গোটা প্রক্রিয়াটি এতটাই গোপনে হয় যে, ব্যবহারকারী কোনও রকম আন্দাজ পায় না যে তাঁর ফোনের সঙ্গে কী হচ্ছে।