কলকাতা: শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মেলনীর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বড় দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, রাজ্য থেকে টাটাকে তিনি নন, তাড়িয়েছে সিপিএম! তাঁর এই মন্তব্যের পর টাটা ইস্যুতে ফের ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। সিপিএম তো বটেই, অন্য বিরোধী দলও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব। ঠিক এই আবহেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে জমি-চোর বলে বসলেন তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে লম্বা একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক বলছেন, তার ব্যাখ্যা করেছেন দেবাংশু।
আরও পড়ুন: ভদ্রমহিলা জীবনে কখনও সত্যি বলেছেন? টাটা প্রসঙ্গে মমতাকে তুলোধোনা বিকাশের
ফেসবুকে দেবাংশু লিখেছেন, ”টাকা চুরিকে যদি ভদ্র ভাষায় বিশ্লেষণ করা হয়, তাকে “বেআইনিভাবে টাকা নেওয়া” বলা যায়। তাই উল্টো ভাবে “বেআইনিভাবে জমি নেওয়া”কে সোজা ভাষায় জমি চুরি বলা চলে। সেই সূত্রে, সোজা ভাষায় বললে আমাদের বুদ্ধবাবু জমি চোর ছিলেন। চুরির জমিতে ফেঁসে গিয়েছিলেন বেচারা রতন টাটা সাহেব। সাদা ধুতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা চোরদের সম্রাটকে তিনি চিনতে পারেননি।” এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল নেতা। তিনি আরও বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়েছেন.. সেই নুনের জ্বালায় অনেকেই ছটফট করছে। দৃপ্ত ভাবে বলছি, সজ্ঞানে বলছি, বুদ্ধ জমি চোর, বুদ্ধ জমি চোর, বুদ্ধ জমি চোর।” এই বিষয়টি নিয়ে বলতে তিনি নয়ডার অট্টালিকা ভাঙার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন।
শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথা ছিল, ‘‘টাটাকে আমি তাড়াইনি৷ সিপিএম তাড়িয়েছে৷ ওঁরা লোকের জমি জোর করে দখল করতে গিয়েছিল৷ আমরা সেই জমি ফেরত দিয়েছি৷” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জায়গার তো অভাব নেই৷ তাহলে জোর করে কেন জমি নেব? তৃণমূল সরকারও অনেক প্রকল্প করেছে৷ কিন্তু কারও জমি দখল করে নয়৷