কলকাতা: নম্বর ছিল না উপযু্ক্ত। দেননি ইন্টারভিউ। তারপরেও এসএসসির মেধা তালিকার শীর্ষে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা। যদিও আদালতের নির্দেশে বর্তমানে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন তিনি। ৪১ মাসের বেতন তাঁকে ফেরত দিতে হবে। এই নিয়ে উত্তাল রাজ্যরাজনীতি। তারমধ্যেই অঙ্কিতা অধিকারীকে এক হাত নিলেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচর্য।
কী বললেন দেবাংশু ভট্টাচর্য? সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচর্য বলেন, অঙ্কিতা একটু সিপিএমের কাটিংয়ে। সারাজীবন অসৎ উপায়ে চলার পরেও সততার ডুগডুগি বাজানো সিপিএমের একটা পুরনো গুন। ওদের করা সততার সঙ্গে বাস্তব মানুষের সততার কোনও মিল নেই। তেমনি অঙ্কিতা অধিকারীর প্রোফাইল পিকচারের সততার সঙ্গে বাস্তবের সততার আকাশ পাতাল ফারাক। ফলে তিনি যদি রেড ভলন্টিয়ার দিয়ে শুরু করতেন তাহলে পলিটব্যুরো পর্যন্ত পৌঁছে যেতেন।
শুক্রবার অঙ্কিতা অধিকারীর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে অঙ্কিতা অধিকারীর ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা রয়েছে সততাই শ্রেষ্ঠ উপায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন অঙ্কিতা। যদিও ছবিটি ও ক্যাপশানের সত্যতা আজ বিকেল যাচাই করেনি। বর্তমানে অঙ্কিতা অধিকারীর ফেসবুক প্রোফাইলের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার শুনানির সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অঙ্কিতা অধিকারী নিজেকে আর শিক্ষিকা হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না। তিনি ওই স্কুলে আর ঢুকতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, তাঁকে ৪১ মাসের বেতন ফেরত দিতে হবে বলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৮ সালের এসএসসির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেধা তালিকায় প্রথমে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম ছিল না। পরবর্তীতে অনেক কম নম্বর থাকার পরেও অঙ্কিতা অধিকারীর নাম শীর্ষে থাকে। এই ঘটনায় বিরোধিতা করে মামলা করেন চাকরি প্রার্থী ববিতা সরকার। সেই মামলাতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। ৭ জুন প্রথম কিস্তি ও ৭ জুলাই দ্বিতীয় কিস্তির মাধ্যমে অঙ্কিতা অধিকারীকে ৪১ মাসের বেতন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।