কলকাতা: শহরে একের পর এক অভিনেত্রীর আত্মহত্যা করছেন। গত তিন সপ্তাহে তিন অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আর প্রতি ক্ষেত্রেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের সঙ্গে অবসাদের তত্ত্ব উঠে আসতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে সামলে রাখা যায় সমাজের ইঁদুর দৌড় থেকে তারই দাওয়াই দিলেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচর্য।
শনিবার ফেসবুকে একটা লম্বা পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য একাধিক উপদেশ দেন। তিনি লেখেন, ‘লাইফস্টাইল একটু সহজ সরল রাখুন। নিজেদের আশপাশ অতিরিক্ত আড়ম্বরে মুড়ে ফেলবেন না। হাতে টাকা এলেই লোক দেখিয়ে খরচা করে নিজেকে কেউকেটা দেখাতে যাবেন না। চতুর্দিকে আমাদের বয়সি ছেলে মেয়েগুলো নিজেদের শেষ করে দিচ্ছে। কী কী কারণ আছে জানিনা। তবে জীবনযাত্রার মান ভীষণ ভাবে উপরে উঠিয়ে দেওয়ার পর যখন আর্থিক সংকটে তাকে মেনটেইন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, তখন সর্বনাশা ডিপ্রেসন চেপে ধরতে বাধ্য। যার পরিণাম শেষ কয়েক সপ্তাহের সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম!’
পল্লবী, বিদিশা বা মঞ্জুষার মৃত্যু কীকারণে হয়েছে জানা যায়নি। তবে তিনজনকেই ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত হিসেবে দেখা যায়। এই বিষয়ে তৃণমূলের যুবনেতা হঠাৎ করে চলে আসা বৈভবকে দায়ী করছেন। তিনি মনে করছেন, কাঁচা টাকা আসার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে লাইফস্টাইলের মান বেড়ে যায়। তারপর অনটনটা আর মেনে নিতে পারছেন না তরুণ প্রজন্ম। ফেসবুকে দেবাংশু লেখেন, ‘লোক দেখানো বৈভব দিয়ে কি হবে? হয়ত যাকে বা যাদেরকে দেখাচ্ছেন, ভিতরে ভিতরে তারাও ভীষণ ফাঁপা হয়ে আছেন। কী লাভ তাহলে? কৃত্রিম সুখের প্যালেস সাজাতে গিয়ে জীবন থেকে রামধনু হারিয়ে যাচ্ছে না তো? শিশির ভেজা ধানের শিষ হারিয়ে যাচ্ছে না তো?’
টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দের মৃত্যুর প্রায় ১৫ দিনের মাথায় উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ তাঁর নাগেরবাজারের ভাড়া বাড়ি থেকে পাওয়া যায়। তার ঠিক দুই দিন বাদেই পাটুলি থেকে উঠতি মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ নিজের ঘর থেকে পাওয়া যায়। শহরে একের পর এক অভিনেত্রী মডেলের মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন দানা বাঁধতে থাকে। গ্ল্যামার জগতে প্রদীপের নীচে অন্ধকারটা আরও প্রকট হয়ে উঠতে থাকে।