কলকাতা: পানিহাটির আট নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। মৃত কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষী এবার সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চাইছেন। সূত্রের খবর, তিনি দেখা করতে চান তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে গতকাল পর্যন্ত তিনি সিবিআই তদন্ত চাইছিলেন তাঁর স্বামীর খুনের ঘটনায় তদন্তের জন্য। আজ তিনি সিআইডি তদন্তের কথাই বলেছেন।
আরও পড়ুন- বালিগঞ্জ পেয়ে নেত্রীকে ধন্যবাদ বাবুলের, আসানসোলে লড়বেন ‘বিহারিবাবু’
অনুপমের স্ত্রীর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মায়ের মতো। তিনি তাই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান অন্তত একবার। তাঁর দুই সন্তান নিয়ে আগামী দিনে কী ভাবে চলবেন, তাও জানতে চান। পাশাপাশি মীনাক্ষী আরও জানাচ্ছেন, তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চান। তাঁর স্বামী যে যুদ্ধে নেমেছিল সেই যুদ্ধে নেমেই তিনি একই পথে পা মিলিয়ে চলতে চাইছেন। এই কারণেই মীনাক্ষী চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। তবে আজ আর তিনি সিবিআই তদন্ত চাননি। তাঁর কথায়, সিআইডি তদন্ত দিয়েই এই খুনের কিনারা হোক। রাজনীতিতে পদে পদে শত্রু থাকে। তাই কারা, কেন এটা করল তা তিনি জানতে চান। প্রসঙ্গত, গতকাল মীনাক্ষী বলেছিলেন, তাঁর স্বামীর অনেক শত্রু ছিল। কে, কোথায়, কীভাবে সব পরিকল্পনা করেছে তা জানা কঠিন। কিন্তু যেভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে সেটা পরিকল্পনা না থাকলে হয় না।
ইতিমধ্যে অনুপম দত্ত খুনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তাকে জেরা করছে পুলিশ ব্যারাকপুরের কমিশনারেট৷ জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ধৃত ব্যক্তির নাম শম্ভুনাথ পণ্ডিত৷ সে একজন সুপারি কিলার৷ তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করার পর তেঁতুলতলা এলাকার হোগলাবনে লুকিয়ে ছিল সে৷ মূল অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে সোমবার রাতে বারুইপুর এলাকায় অভিযান চালায় ব্যারাকপুরের কমিশনারেয়ের তদন্তকারীরা। তাতেই ধরা পড়ে তিনজন। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় মোট ৬ জন গ্রেফতার হল।