কলকাতা: তৃণমূল উপপ্রধানের খুনের ঘটনায় উত্তাল বীরভূম। নেতা খুন হওয়ার পরেই অনুগামীরা তাণ্ডব চালায়, পর পর বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে দাবি। ইতিমধ্যেই ১০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। রামপুরহাটের ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তদন্তকারী দলে রয়েছেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং, এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিং এবং জিআইজি সিআইডি (অপারেশন) মিরাজ খালিদ। গোটা বিষয়ের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ব্যাখ্যা দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য।
আরও পড়ুন- ‘শুনলাম শর্ট সার্কিট থেকে টিভি ফেটে আগুন লেগেছে’, রামপুরহাটের ঘটনায় মন্তব্য অনুব্রতর
এদিন তিনি জানান, গতকাল খুনের ঘটনার পরেই নেতার গ্রামে ৭-৮ টি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। রাতের মধ্যেই সেখানে পুলিশ, দমকল সব পৌঁছে গিয়েছিল। আজ সকালের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর একটি বাড়িতে ঢুকে ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি, সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি জানান, উপপ্রধান খুনের পর মানুষ উত্তেজিত হয়ে কিছু ঘটিয়েছে, নাকি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, রামপুরহাটের ঘটনায় ইতিমধ্যে রামপুরহাটের ওসি-কে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। আপসারিত হয়েছেন এসডিপিও সায়ন আহমেদ, সেই কথাও আরও একবার জানিয়ে দেন তিনি।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী৷ তাঁর কাছ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রির্পোট চেয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি৷ সোমবার রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের৷ তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তিনি ছিলেন বকটুই গ্রামের৷ গতকাল গ্রামে জাতীয় সড়কের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ভাদু৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।