আনিস হত্যার প্রতিবাদে নাগরিক সমাজের মিছিল, হাঁটলেন বিশিষ্টজনেরা

আনিস হত্যার প্রতিবাদে নাগরিক সমাজের মিছিল, হাঁটলেন বিশিষ্টজনেরা

কলকাতা: হাওড়া আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে  নাগরিক সমাজের মিছিল। ধর্মতলা থেকে শুরু করে মহাজাতি সদন পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন বিশিষ্টজনেরা৷ এর আগে একাধিক রাজরাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্র সংগঠন রাস্তায় নেমেছে৷ আজ প্রতিবাদে পথে নামল নাগরিক সমাজ৷ হাতে ধরা বড় পোস্টারে লেখা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’৷  

আরও পড়ুন- পকসো আইনে মামলা ছিল আনিসের বিরুদ্ধে! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যর পর দু’দিন পেরিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু এখনও অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি পুলিশ৷ শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশের উর্দি ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের বেশে চারজন আনিসের বাড়িতে ঢোকে৷ অভিযোগ তারাই তিনতলার ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে খুন করে আনিসকে৷ কিন্তু তারা কারা? এখনও পর্যন্ত সেই উত্তর মেলেনি৷ কোনও খোঁজ মেলেনি আততায়ীদের৷ প্রতিবাদে আজ মিছিলে হাঁটলেন সৃজন ভট্টাটার্য, দেবদূত ঘোষ, বিকাশ ভট্টাচার্য, বাদশা মৈত্র, ফুয়াদ হালিম, ময়ূখ বিশ্বাসের মতো ব্যক্তিত্বরা৷ 

উল্লেখ্য, আজই আনিস খানের রহস্য মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ প্রসঙ্গে দেবদূত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কোনও কথাতেই আমাদের বিশ্বাস নেই৷ পশ্চিমবঙ্গে বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়েছে৷ নারদা থেকে সারদা কোনও মামলার বিচার হয়নি৷ পুলিশের লাঠিতে মইদুলের মৃত্যু হল কিন্তু আজও বিচার পেল না৷ জাস্টিস ডিলে, জাস্টিস ডিনায়েড৷ সরকারের কোনও স্বচ্ছ্বতা নেই৷ এই সরকারের বদল চাই৷’ 

বিকাশ রঞ্জন বলেন, সারদা মামলাতেও এ রাজ্যে সিট গঠন করা হয়েছিল৷ সেই সিটের বিশ্বাস যোগ্যতা সুপ্রিম কোর্টে অর্জন করতে পারেনি৷ সরকার পরিকল্পিতভাবে আনিসকে খুন করেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী আজ নতুন করে বার্তা দিচ্ছেন, আনিস তাঁর দলের লোক৷ নিজের দলের লোককে হত্যা করতেও তাঁরা দ্বিধা করেন না৷ যদি তিনি স্বাধীন মুক্ত কন্ঠে সরকারি নীতির বিরোধিতা করেন৷ 

সব্যসাচী বলেন, পুলিশ যদি সন্দেহাতীত হতেন, তাহলে আনিসের বাবা যখন রাতে ফোন করেছিলেন, তখন গেল না কেন? এখানে এমন কিছু আছে যাতে পুলিশ তদন্ত করতে ভয় পাচ্ছে৷ একজন বৈদ্যুতিক টিভি চ্যানেলের মালিক মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছেন, আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি? বাদশা মৈত্রের কথায়, এটা পরিকল্পিত ছাত্র হত্যা৷ এর দায় পুলিশ প্রশাসন এবং পুলিশমন্ত্রীর৷