‘আগে টেলিভিশন চ্যানেল ছিল দর্শনধারী, এখন ‘ধর্ষণধারী’, সংবাদমাধ্যমকে তুলোধনা মমতার

‘আগে টেলিভিশন চ্যানেল ছিল দর্শনধারী, এখন ‘ধর্ষণধারী’, সংবাদমাধ্যমকে তুলোধনা মমতার

কলকাতা:  ‘‘আগে টেলিভিশ চ্যানেল ছিল দর্শনধারী। এখন কেউ কেউ বলে ‘ধর্ষণধারী’৷’’ নবান্নের সভাঘর থেকে সংবাদমাধ্যমকে এই ভাষাতেই তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- ‘দুয়ারে সরকার’ নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার, জুনেও চলবে প্রকল্পের কাজ

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্ষণ হোক বা না হোক, অভিযোগ পেলেই সেই খবর সম্প্রচার করা হচ্ছে৷ প্রশাসনের কাছ থেকে খবর না নিয়েই, ঘটনার সত্যতা বিচার না করেই তা দেখানো হচ্ছে৷ কোনও ঘটনা ঘটলে তার তদন্তের সময়টুকু অন্তত দিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক ঘটনা ফরেন্সিক রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর নির্ভর করে৷ আন্দাজে বলা সম্ভব নয়। সে দিকে নজর রেখে সংবাদ পরিবেশন করুন৷

তাঁর কথায়, এ রাজ্যে গণতন্ত্র রয়েছে বলেই ডায়েরি বা অভিযোগ দাখিল হয়। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে অভিযোগ দাখিল করতেই দেওয়া হয় না। কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিকদের নগ্ন করে লকআপে রাখা হয়েছিল। যাতে সরকারের বিরুদ্ধে খবর করতে না পারে। এ রাজ্যে তেমন হয় না। এখানে যে কোনও সত্য ঘটনারই তদন্ত হয়। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও কোনও মামলা হলেও  তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এখানে সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতা রয়েছে৷ আমরাও চাই সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করুক৷ কিন্তু, আপনারা খবর প্রচার করার আগে কি দেখেছেন অভিযোগটা সত্যি? সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতা৷ তাঁর কথা আগে যাচাই করুন৷ সত্যি হলে তবেই খবর চালান৷ তাঁর হুঁশিয়ারি, একটা খবর বারবার দিয়ে ঘৃণা ও বিদ্বেষ তৈরি করবেন না৷ আমরা চাই সংবাদমাধ্যম স্বাধীন ভাবে কাজ করুক৷ কিন্তু টিআরপি বাড়াতে গিয়ে ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখাবে সেটা চলবে না৷