কলকাতা: রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতের নয়া মোড়। রাজ্যপালকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদ থেকে সরাতে চায় সরকার। রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার একটি প্রস্তাব বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হয়েছে। এই সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য তা বিধানসভায় পাঠানো হবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে যত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তার আচার্যপদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাজ্যের মন্ত্রিসভা সর্ব সম্মতভাবে গ্রহণ করেছে। এটা বিধানসভায় বিল হিসেবে পেশ করা হবে। তারপর আইন হিসেবে কার্যকর হবে।’
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০১০ কেন্দ্রীয় সরকার একটি কমিশন গঠন করে। সেই কমিশন সমস্ত রাজ্যগুলোকে রেকমেনডেশন পাঠায়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আচার্য পদে রাজ্যাপালকে না রেখে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করা যেতে পারে। যদিও সেই সময় কোনও রাজ্যই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। ২০২২ সালে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রিসভা। যদিও ইতিমধ্যে কেরল সরকার ও তামিলনাড়ু সরকারও ইতিমধ্যে তাদের মন্ত্রিসভায় সর্ব সম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে এখনও আইন হিসেবে কার্যকর হয়নি দেশের এই দুটি রাজ্যেও। তবে এই আইন কার্যকর করতে গেলে রাজ্যপালের অনুমোদন দরকার বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা বলেন, এই সিদ্ধান্ত খুব দুর্ভাগ্যজনক। পাশাপাশি তিনি ব্যঙ্গার্থ্যক অর্থে বলেন, ‘যিনি নিরলস সাহিত্য চর্চার জন্য পুরস্কার পেতে পারেন, তাঁর থেকে যোগ্য আর কে থাকতে পারে! আমার মনে হয়, মুখ্যমন্ত্রীর সময়ের থেকে কাজ কমে পড়ে গিয়েছে। শিক্ষার যেটুকু পরিসর তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, তাও নিজের অধীনে নিয়ে আসতে চাইছেন। শিক্ষাক্ষেত্রকেও কলুষিত করতে চাইছেন।’