কলকাতা: ফের একবার ইডি তলব করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুক্রবারই কলকাতায় হাজিরা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক তর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। বাম-কংগ্রেস অনেক আগে থেকেই বলে আসছে যে বিজেপি এবং তৃণমূল আঁতাত আছে। আজ তাদের থেকে দাবি করা হল যে, এই ইডি তলবও সেটিং! যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অন্য কথাই বলেছেন।
আরও পড়ুন- চাকরির নামে প্রতারণার করে ফেরার পার্থ-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা! টাকা ফেরাচ্ছেন দলেরই এক উপপ্রধান
কংগ্রেসের তরফে সাংসদ-নেতা অধীর চৌধুরীর দাবি, দিদি-মোদী সেটিং হয়ে গিয়েছে, কখন নরম আর কখন গরম হতে হবে তা তারা জানেন। নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে অধীরের বক্তব্য, তাঁর এখন আর কোনও বিপদ নেই, সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, চিটফান্ড কাণ্ডের সব থেকে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হাতে হাতে একাধিক নেতাদের টাকা নিতে দেখা গেলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন সরকার চাপে আছে, ইতিমধ্যে দু’জন ভিতরে গিয়েছেন। আরও অনেকের যাওয়ার বাকি। এদিকে তৃণমূল-বিজেপি’র বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ সিপিএম যুব নেত্রী দীপ্সিতা ধরও। তাঁর কথায়, তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই আরএসএসের পরিবারের অংশ।
যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের যুক্তি, আঁতাত যদি হত তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হতেন না। কোনও বোঝাপড়া নেই সেটা আগেও বলা হয়েছে এবং তার প্রমাণও আছে। আসলে রাজনৈতিক মহলে একাধিকবার দাবি তোলা হয়েছে যে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির একটা আঁতাত আছে। দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিং করতে যান, এমন দাবি তোলাও হয়েছে।