কলকাতা: রাজ্যে অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সরকারের পক্ষ থেকে বিজেপি সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। বিরোধীদের দাবিয়ে রাখতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে তারা এমন অভিযোগ। এই নিয়ে সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বিজেপিকে একহাত নেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি সরাসরি এর জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ‘দায়ী’ করেননি। তাঁর নিশানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- অভিষেককে নিয়ে শুভেন্দুর ব্যক্তিগত আক্রমণ বাংলার সংস্কৃতি বিরুদ্ধ, ফুঁসে উঠল তৃণমূল
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি উদ্ধার হয়েছে। মোট ১০৩ কোটির সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে বলেই জানিয়েছে ইডি। এই ঘটনার কোনও প্রসঙ্গ না টানলেও টাকা উদ্ধারের ঘটনার সুর টেনে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, গেরুয়া পরে যারা বসে আছে তাদের বাড়িতে টাকার পাহাড় মিলবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে না, করবেও না। বিরোধীদের ত্রস্ত করতে রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মমতার নিশানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই দুজনেরই ‘হাত’ তিনি দেখছেন এখানে।
এই ইস্যুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কার্যত ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিতর্ক চলাকালীন বিধানসভায় তিনি জানিয়েছেন, সিবিআই এখন আর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে নয়। এখন ওই সংস্থা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন। অর্থাৎ অমিত শাহ আছেন এই এজেন্সিগুলির ‘অতিসক্রিয়তার’ পিছনে। মমতার স্পষ্ট কথা, তিনি বিশ্বাস করেন না মোদী এটা করেছেন। বিজেপি নেতারা এসব করছেন। উল্লেখ্য, ইডি-সিবিআইয়ের ‘অতিসক্রিয়তার’ বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব এনেছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তাব পাশও হয়ে যায় ১৮৯-৬৪ ভোটে।