কলকাতা: হেফাজতে থাকাকালীন বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্যুতে কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ৷ পাশাপাশি শেষকৃত্যের জন্য লালনের দেহ বগটুই গ্রামে পৌঁছনোর মধ্যেই রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে পৌঁছন রাজ্য সিআইডির আইজি সুনীলকুমার চৌধুরী। সেখানে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও৷ এদিকে, পাল্টা আইনি পদক্ষেপ করে সিবিআই-ও৷ পুলিশের দায়ের করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ সেই মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, লালনের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিআইডি।
আরও পড়ুন- টাকা নিয়ে চাকরি! প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে তলব
পাশাপাশি তিনি বলেন, সিবিআইয়ের যে সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধ এফআইআর করা হয়েছে, তাঁরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত৷ ফলে এই মুহূর্তে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না৷ বিচারপতি জানান, লালনের স্ত্রীর বক্তব্য না শোনা পর্যন্ত আদালত কোন সিদ্ধান্ত নবে না। যা ঘটেছে সেটা দুঃখ জনক এবং দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, লালন শেখের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে এইমস কল্যানিতে৷ তবে লালন শেখের দেহ ইতিমধ্যেই কবর দেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ ফলে তার পরিবারের সঙ্গে কথা না বলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত এখনই করা হবে না৷ এই মামলায় লালনের স্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলেও আদালতের নির্দেশ।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন, তোলাবাজি)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে সিবিআইয়ের ডিআইজি এবং এএসপির বিরুদ্ধে৷ এই ৭ আধিকারিকের মধ্যে অন্যতম উল্লেখ্য সুশান্ত ভট্টাচার্যের নামে৷ গরু পাচার মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হিসাবে বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিলেন তিনি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>