কলকাতা: গরু পাচারের মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী এনামুল হক প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করল সিআইডি। গোয়েন্দাদের কথায়, আরবের বিভিন্ন দেশে এনামুল ব্যবসার কয়েকশো কোটি ধাপে ধাপে পাচার করেছে। সম্প্রতি এনামুলের ভাগ্নেদের বিভিন্ন অফিসে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি। সেখান থেকে যে সমস্ত নথিপত্র মিলেছে তা দেখে এমনটাই জানিয়েছে তাঁরা। বলা হয়েছে, টাকা বিদেশে পাচারের একাধিক প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় আদালতের দ্বারস্থ রাজ্যের মন্ত্রীরা, নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি
কিছুদিন আগেই সিআইডি এনামুল ঘনিষ্ঠ জেনারুল শেখকে গ্রেফতার করেছিল। গরু পাচার কাণ্ডে সে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলেই সিআইডির দাবি। সেও এই টাকা পাচারের বিষয়ে আলাদা করে জড়িত কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন সিআইডি’র আধিকারিকরা। এছাড়া এনামুলের তিন ভাগ্নেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তৎপর সিআইডি। সেই প্রেক্ষিতে তাদের নোটিশ পাঠিয়ে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে। এমনিতেই এই মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। তাদের পাশাপাশি সিআইডিও তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই একাধিক গ্রেফতারি করেছে। তাদের জেরা করেই টাকা পাচার সংক্রান্ত নথি মিলেছে বলেই খবর।
এই এনামুলকে জেরা করেই উঠে এসেছিল অনুব্রত মণ্ডলের নাম। মাস দু’য়েক আগে গ্রেফতার হন কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন৷ হদিশ মেলে তাঁর বিপুল সম্পত্তির৷ সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও গরু পাচার মামলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। সিবিআই আগেই দাবি করেছিল, এনামুল হকের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি হত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। ফোনেই কথা হত দু’জনের। এনামুল নাকি নিজেই জানিয়েছিলেন, গরু পাচারের আগে অনুব্রতর হাতে ‘প্রোটেকশন মানি’ তুলে দিতে হত৷ তিন মাসে তাঁদের মধ্যে ডিল হত ৬ কোটি টাকা৷ সায়গলের হাতে টাকা তুলে দিতেন এনামুল। সায়গল সেই টাকা পৌঁছে দিতেন অনুব্রতর কাছে৷ তার থেকে আবার ভাগ পেতেন সায়গলও।