কলকাতা: ২০১৬ সালের এসএলএসটি পরীক্ষার্থীদের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতকে জানিয়েছেন, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে শারীরশিক্ষা বিষয়ে ১০১৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ কিন্তু এই নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে৷ বহু অযোগ্য প্রার্থী সুযোগ পেয়েছেন৷ ২০১৬ সালে অন্তত ১৬৩ জনকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে হলফনামা দিয়ে মেনে নিয়েছেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। সেই মামলাতেই ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু৷ তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে প্রত্যেকের অ্যাকাডেমিক নম্বর এবং বয়স বাড়িয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন- বেঞ্চ থেকে সরলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল ডিএ মামলা
১৯৬ জন মামলাকারী বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলা করেছিলেন৷ তাঁদের অভিযোগ, মেধার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হয়নি। সেই মামলায় শুনানি ছিল বুধবার৷ শুনানি শেষে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া ২১ জন প্রার্থীকে অবিলম্বে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই৷ ১৬ জানুয়ারি রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷
এদিন শুনানি পর্বে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। কিছু যোগ্য প্রার্থীর কথা বিবেচনা করবে আদালত। যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>