কলকাতা: গরু পাচার মামলার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব৷ সোমবার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে তলব করেছে সিবিআই৷
গত বুধবার দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা বীরভূম এবং কলকাতার ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা, ১০টি মোবাইল, পেন ড্রাইভ ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে৷ তাঁরা হানা দিয়ছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পাথর ব্যবসায়ী টুডু মণ্ডল ও তৃণমূল নেতা আবদুল কেরিম খানের বাড়িতে৷ জিয়া উল হক শেখের বাড়ি থেকেও একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই৷ সেই সকল সূত্র ধরে অনেক নতুন তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি৷
এর আগে গরু পাচার কাণ্ডে মাত্র একবার অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই৷ আট বার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তাঁকে৷ একবার সাড়া দেন তিনি৷ এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দিয়ে গরু পাচার মামলায় বেশ কিছু নতুন তথ্য সিবিআই-এর হাতে উঠে এসেছে৷ হাতে এসেছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কিছু তথ্যও৷ সিবিআই জানাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডল যে বয়ান দিয়ে গিয়েছিলেন, তার সঙ্গে নতুন তথ্যের কোনও মিল নেই৷ একটা ফাঁক থেকে গিয়েছে৷ তাই নতুন তথ্য সামনে রেখে ফের অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারী অফিসাররা৷ একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই৷
সিবিআই-এর নোটিশ পাওয়ার পরই নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন অনুব্রত৷ সোমবার সিবিআই তলবে তিনি সাড়া দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি৷ উদ্ধার হয়েছে তাঁর বিপুল সম্পত্তি৷ সিবিআই তলব প্রসঙ্গে শান্তনু সেন বলেন, ‘‘বিজেপি’র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজে বলেছেন, বিজেপি’র দুই ভাই ইডি ও সিবিআই-এর উপর ভরসা করে এগোতে চাইছে দল৷ বেছে বেছে বিজেপি বিরোধী নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে৷ ইডি-সিবিআই তদন্ত করুক৷ কিন্তু, দীর্ঘ দিন তদন্তের নামে কাউকে অভিযুক্তের তালিকায় ফেলে রাখাটা দুঃখ জনক৷’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>