বোলপুর: বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের নীচুপট্টির বাড়িতে সিবিআই-হানা৷ অনুব্রতর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সোজা বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই-এর আধিকারিকরা৷ নজরে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তি৷ বুধবার অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছিল৷ তবে ১০ মিনিট পরই কেষ্টর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই অফিসাররা৷
আরও পড়ুন- আসছে ‘নতুন তৃণমূল’! তবে কি আড়াআড়ি ভাঙন দেখা দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে?
এদিকে, সিবিআই আসার আগেই সেখানে পৌঁছে যান সুকন্যার আইনজীবী৷ তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেন অনুব্রত-কন্যা৷ দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে অনুব্রতর বাড়িতে ঢোকে সিবিআই৷ এক মহিলা অফিসারও ছিলেন সেই দলে৷ জানা গিয়েছে মনীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য সিবিআই-এর হাতে এসেছে৷ সেই সকল তথ্য নিয়েই অনুব্রতর নীচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের চারজনের ওই দল৷
সুকন্যার বিপুল সম্পত্তি তল পেতে তৎপর সিবিআই৷ তাঁরা জানতে পেরেছেন, একদিনে ১০টি জমি হস্তান্তরিত হয়েছিল৷ তার মধ্যে ৭টি হস্তান্তর করা হয়েছিল সুকন্যার নামে৷ একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবেও তাঁর নাম রয়েছে৷ কোনও রকম সিকিউরিটি ছাড়া তাঁর কোম্পানিকে লোন পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ ২০০৬ সালে একটি কোম্পানি তৈরি হয়েছিল৷ সেই সময় সুকন্যা নাবালিকা৷ সেই সংস্থারও প্রথম ডিরেক্টর হিসাবে সুকন্যার নাম রয়েছে৷ এছাড়াও কয়েক কোটি টাকা তাঁর নামে শেয়ার ক্যাপিটাল হিসাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে৷ এই সকল কারণেই সিবিআই ব়্যাডারে রয়েছেন সুকন্যা৷
এদিন সিবিআই ক্যাম্প অফিসে অনুব্রতর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই আধিকারিকরা বেরিয়ে যান। ঘটনাচক্রে তাঁরা যখন মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন সেই সময়ে বোলপুরের নীচুপট্টি এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছন তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা৷ কিন্তু, ১০ মিনিটের মধ্যেই অনুব্রতর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান গোয়েন্দারা৷ কবে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>