কলকাতা: ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের কাছে মামলা সংক্রান্ত যে নথি রয়েছে তা অবিলম্বে সিবিআইএর-হাতে হস্তান্তর করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷
আরও পড়ুন- SSC মামলায় নয়া মোড়! মামলা রিলিজ করল বিচারপতি সি সিভগ্নানাম ও হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ
এদিন মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, মানুষ ও অভিযোগকারীর মনে আস্থা ফেরানোর জন্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বিচারপতি আরও বলেন, পুলিশ এই মামলায় যে সকল পদক্ষেপ করেছে, তা নিশ্চিত ভাবেই উল্লেখযোগ্য৷ তবে এই মামলায় বেশ কিছু খামতি রয়েছে৷ কী সেই খামতি? বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আইসি সঞ্জীব ঘোষের ভূমিকা নিয়ে পরিবারের অভিযোগ ছিল৷ তাঁকে এখনও হেফাজতে নেওয়া হয়নি৷ তিনি বহালতবিয়তে কাজ করছেন৷ পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্ন, তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত সঞ্জীব ঘোষের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেননি কেন? কলকাতা হাইকোর্টের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ওই ফোনে যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল, তা নষ্ট করে দেওয়া হতে পারে৷ সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷
এছাড়াও কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন৷ গতকাল পুলিশ সুপার একটি প্রেস কনফারেন্স করেন৷ সেখানে আইসি সঞ্জীব ঘোষকে কার্যত ক্লিনটিট দেন তিনি৷ যা একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না আদালত৷ কারণ এখনও মামলার তদন্ত শেষ হয়নি৷ তদন্ত শেষ হওয়ার আগে একজন পুলিশ সুপার কী ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে আইসি সঞ্জীব ঘোষকে ক্লিনচিট দিলেন? এখানেই সবচেয়ে বড় খটকা লেগেছে আদালতের৷
১৩ মার্চ খুন হন কাউন্সিলর তপন কান্দু৷ প্রথম থেকেই সিবিআই নির্দেশের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্নিমা কান্দু৷ অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পিছনে আইসি সঞ্জীব ঘোষের হাত রয়েছে৷ এদিন উচ্চ আদালত সিবিআই নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি আদালতকে ধন্যবাদ জানান৷ সিবিআই তদন্ত হলে সুবিচার পাবেন বলে আশাবাদী পূর্ণিমা৷
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে প্রথম থেকেই পারিবারিক অশান্তির তত্ত্ব খাড়া করেছে রাজ্য পুলিশের সিট। গত সপ্তাহে এই ঘটনায় বোকারো থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পরে তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু-সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরেই এই খুন বলে কার্যত সিলমোহর দিয়ে দেয় রাজ্য পুলিশ। এবার হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করবে সিবিআই৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>