কলকাতা: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ স্বভাবতই রায় শুনে কেঁদে ফেললেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু৷ তিনি বলেন, ‘‘এবার অপরাধীদের সাজা হবে৷ আমি চাই, ওদের প্রত্যেকের ফাঁসি হোক৷’’
বস্তুত, রাজ্যের গঠিত স্পেশ্যাল ইনভেসটিগেশন টিমের প্রতি আস্থা না রেখে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু৷ এদিন সেই আবেদন মঞ্জুর করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি৷ বস্তত, কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আইসি সঞ্জীব ঘোষের ভূমিকা ভালভাবে দেখছে না কলকাতা হাইকোর্ট৷ কারণ, আইসি এবং এসপির ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ঠ আদালত৷ সূত্রের খবর, খুনের মামলায় খোদ আইসির নাম জড়িয়ে গিয়েছে৷ তারপরেও রবিবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই মামলায় অভিযুক্ত আইসিকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছেন এসপি৷ এদিন আদালতে সেই প্রশ্নগুলিও উঠে আসে৷ মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই আইসিকে কিভাবে এসপি ক্লিনচিট দিলেন, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন৷ প্রসঙ্গত, আইসির ফোন এখনও কেন বাজেয়াপ্ত করাহয়নি, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷
নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ‘‘আইসি সঞ্জীব ঘোষ আমার স্বামীকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর দিতেন। আমার স্বামীর মৃত্যুর পিছনে অনেকে জড়িত রয়েছে৷ আশা রাখি, সিবিআই তদন্তে প্রকৃত সত্য সামনে আসবে৷ অপরাধীরা কঠোর শাস্তি পাবে৷’’
পুরভোটের ফল প্রকাশের পর গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ঝালদা পুরসভা এলাকায় আততায়ীদের গুলিতে জখম হন ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর৷ বস্তুত, তপনবাবুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁর ভাইপো দীপক কান্দু৷ যদিও কাকার কাছে ভোটে হেরে যান তিনি৷ অভিযোগ, ভোটে হেরে যাওয়ার আক্রোশ মেটাতেই কাকাকে খুন করে ভাইপো৷ ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজ্য পুলিশ নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো দীপক কান্দুকে এবং ঝাড়খণ্ড থেকে কলেবর সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে৷