দু’টি পশু হাটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই, এখান থেকেই গরুপাচার?

দু’টি পশু হাটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই, এখান থেকেই গরুপাচার?

4e8c0fcdca8133eb0d8d54a85a307449

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই তাঁকে একাধিকবার তলব করলেও তিনি মাত্র একবার সাড়া দিয়েছিলেন। অবশেষে বীরভূমে গিয়ে তাঁর বাড়ি থেকেই নেতাকে গ্রেফতার করে তাঁরা। গরু পাচারের ইস্যুতে এটা যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ তা মানছেন প্রত্যেকেই। এবার দুটি পশু হাটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই বলে খবর। সেখান থেকেই কি পাচার হত গরু? প্রশ্ন উঠেছে। আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন- মন্ত্রিসভার বৈঠক এবার থেকে জেলে হবে! তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

সিবিআই সূত্রে খবর, যে দুটি পশু হাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তার একটি ইলামবাজার ব্লকের সুখবাজারে, অন্যটি মুরারই ২ ব্লকের হিয়াতনগরে। অনুমান করা হচ্ছে, এই দুটি বাজার থেকেই মূলত গরু পাচার করা হত। সিবিআই মনে করছে, কয়েক জন পুলিশও এই পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এই বাজার থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার হত, আবার বিএসএফের হাতে আটক হওয়া গরুও চালান করে দেওয়া হত। সিবিআই আরও জানতে পেরেছে, ওড়িশা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ সহ আরও বেশ কিছু রাজ্য থেকে গরু আসত বীরভূমে। প্রধানত এই দুটি হাটেই। শুধুমাত্র পাচারের কারণেই এই হাট সপ্তাহে একদিন খোলা থাকার কথা হলেও, সাতদিনই খোলা থাকত।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এও জানতে পেরেছে, সীমান্তের জওয়ানের সঙ্গে ব্যাপক বোঝাপড়া ছিল এনামুল হকের। আটক গরু সে কিনে নিত লোক লাগিয়ে। পরে সেই গরুই বিক্রি করা হত। এছাড়াও জেলা থেকে যত গরু পাচার করা হত তা কার্যত অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ মতোই করা হত বলে সন্দেহ করছে সিবিআই। সীমান্তের চোরা পথ ঘণ্টা দুয়েকের জন্য খোলা রাখা হত। এই সময়ের মধ্যেই কাজ হয়ে যেত। আরও তথ্য হাতে পেতে তদন্ত জোর দিয়েছে সিবিআই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *