কলকাতা: গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তাঁকে লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার মধ্যে একটি গুলি তাঁর মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হন দীপক, নরেন কান্দু, আশিক খান, সত্যবান প্রামাণিক এবং ভাড়াটে খুনি যোগসূত্রে অভিযুক্ত কলেবর সিং, জাবের আনসারি। এখন জানা গিয়েছে, আরও একজনকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিহারের মুজফফরপুর থেকে এই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ধৃতের নাম শশিভূষণ সিনহা। গোয়েন্দাদের অনুমান, শশিভূষণের সঙ্গে কলেবরের যোগাযোগ ছিল আগে থেকেই।
আরও পড়ুন- চিকিৎসকরা নন, এবার প্রসব করাবেন নার্সরা, বাংলায় আসছে নতুন মডেল
সিবিআই সূত্রে খবর, আনসারিকে জেরা করেই শশিভূষণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তার খোঁজেই বিহারে রওনা দেয় গোয়েন্দাদের একটি দল। সেখান থেকে শশিভূষণকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার তাকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছিল। শুক্রবার তাকে তোলা হবে আদালতে। সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইতে পারে বলে সূত্রের খবর। কারণ আরও কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই প্রয়োজনেই শশিভূষণকে জেরা করতে চায় সিবিআই অফিসাররা।
সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার আগে সিট এই ঘটনার তদন্ত করছিল। কিন্তু তাঁদের তদন্তে খুশি ছিলেন না নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ ছিল, যাতে সত্যি সামনে না আসে তাই সিট ইচ্ছাকৃত ভুল কাজ করেছে। আসলে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ভুল ছিল বলে দাবি করেছিল সিবিআই। তপন কান্দুর শরীরে যে দিক থেকে গুলি ঢুকেছিল ও যে দিক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল তা উলটো লেখা ছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। এই জিনিস নাকি লক্ষ্যই করেনি সিট আধিকারিকরা। কিন্তু রিপোর্ট ভালো করে দেখার পরেই এই ভুল সিবিআই গোয়েন্দারা দেখে ফেলেন।