কলকাতা: ৩ বছর ধরে পেনশন না পেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। বর্ধমানের মেমারিতে নিজের বাড়িতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ২০১৯ সালে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত হন তিনি। এই ঘটনায় বিরোধীরা রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছে। কারণ শিক্ষকের স্ত্রী জানিয়েছেন, বারবার বিকাশ ভবন এবং স্কুলে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি, পেনশন পাচ্ছিলেন না তিনি। এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ওই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- নির্দেশ কার্যকর হয়নি! সিবিআইয়ের ওপর ফের রুষ্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
এদিন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ওই শিক্ষকের পেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে দফতরের বিশেষ সচিবের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা দফতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে দফতরের কারও ভূমিকা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তবে কেন ওই শিক্ষকের পেনশন চালু করা গেল না অবসরের ৩ বছর পরেও? কারণ হিসেব শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে অবসর নিলেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স বিভাগের তদন্ত চলায় পেনশন চালু করা যায়নি। তবে তাঁকে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অন্তর্বর্তী পেনশন দেওয়া হচ্ছিল।
যার মৃত্যু হয়েছে সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের নাম সুনীল কুমার দাস। পরিবারের তরফ থেকে জানান হয়েছে, শেষ কয়েক দিন ধরেই মনমরা হয়ে ছিলেন তিনি, সেইভাবে কোনও কথা বলছিলেন না। এদিন সকালে ঘরের দরজা খুলে ঢুকতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক কটাক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, ঘুষ না দিলে এই রাজ্যে যেমন চাকরি হয় না, ঠিক তেমনই ঘুষ না দিলে কেউ পেনশনও পায় না। যারা এই ঘটনার জন্য দায়ি তাঁদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন তিনি।