কলকাতা: এক মাসে হাসপাতালে বিরিয়ানির বিল ৩ লক্ষ টাকা৷ বাগানের চারাগাছের বিল ২ লক্ষ টাকা৷ কাটায়ো মহকুমা হাসপাতালে ভুতুড়ে বিলের অঙ্ক কোটি টাকা৷ বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের৷ রোগী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে দ্বিতীয়বার বিল পরীক্ষা করার পর গরমিল ধরা পড়লে এফআইআর করা হবে৷
আরও পড়ুন- শুধু চিকেন নয়, মধ্যবিত্তের পকেটে টান ধরিয়ে দাম বাড়ছে মাটনের
এই ভুতুড়ে বিলের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরেই আজ শনিবার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা মহকুমা হাসপাতালে এসে পৌঁছন৷ হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা৷ তাঁদের সমস্ত বিল দেখানো হয়েছে বলে খবর৷ দেখা গিয়েছে, ১৯ দিনে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৬৮০ টাকার বিল হয়েছে৷ বিল অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর এই অর্ডার দেওয়া হয়৷ কিন্তু ঠিকাদার বিল করেছেন ২২ নভেম্বর ৷ সেখানে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের সইও রয়েছে৷ অর্থাৎ ভুতুড়ে বিল অনুযায়ী খাবার ডেলিভারির আগেই তৈরি হয়েছে বিল৷
শুধু বিরিয়ানিই নয়, হাসপাতালের যে বাগান রয়েছে, তার জন্য ২ লক্ষ টাকার উপর নাকি চারাগাছ কেনা হয়েছে৷ যদিও সেই বাগানে কোনও চারাগাছের অস্তিত্ব চোখে পড়েনি৷ ২০২০ সাল থেকে বেশ কিছু ঠিকাদার অভিযোগ করছিলেন তাঁদের ৩ কোটি টাকার বিল বাকি রয়েছে৷ ওষুধ থেকে শুরু করে হাসাপাতালের গাছ, বিরিয়ানি সব মিলিয়ে এই মোটা অঙ্কের বিল বাকি রয়েছে৷৷ সেই বিল খতিয়ে দেখতেই সামনে আসে এই ভুতুড়ে বিল৷
অপর একটি বিলে দেখা গিয়েছে, ইসিজি করার জন্য ব্যবহৃত জেল ২০২০ সালে ২০০ টাকা করে কিনতেন সুরাপ৷ ২০২২ সালে বর্তমান সুপার সেই ইসিজি জেল কিনছেন ২৫ টাকায়৷ গোটা ঘটনায় তৎকালীন সুপার রতন সাসমলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে৷ কাটোয়ার বিধায়ক রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকের পর বলেন, রতন সাসমলের আমলেই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছে৷ আইন মেনে ফের সমস্ত বিল পরীক্ষা করা হবে৷ পরীক্ষার পর যদি দেখা যায় ভুলো বিল দেওয়া হয়েছে, তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে৷ কিন্তু প্রশ্ন হল ভুয়ো বিলে কী ভাবে ‘ওয়ার্ক ডান’ লেখা হল? হাসপাতালের বর্তমান সুপার বলেন, কোটি টাকার কাছে বিল রয়েছে৷ এর পিছনে ভেন্ডারদের ভুল রয়েছে নাকি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুল, তা বিভাগীয় তদন্ত করে দেখা হবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>