দার্জিলিং: জিটিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার। সরকারিভাবে শুক্রবার ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে আগামী ২৬ জুন পাহাড়ে নির্বাচন, গণনা ২৯ তারিখ। জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা প্রথম থেকেই করে এসেছেন বিমল গুরং। তাই এই ভোটের দিন ঘোষণা হতেই তিনি আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। বুধবার থেকেই অনশনে বসেছেন তিনি। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের ওপর ক্ষোভ জাহির করেছেন জেজিএম প্রধান।
আরও পড়ুন- ঘরে ফিরেই গুরুদায়িত্ব! বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সামলাবেন অর্জুন
গুরুংয়ের বক্তব্য, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে কোনও রকম পদক্ষেপ তারা নেয়নি, পাত্তাই দেয়নি। তাই এই জিটিএ নির্বাচন তারা মানছেন না। যদিও তাদের ভরসা এখনও রাজ্য সরকারের ওপর আছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। বিমল জানান, কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার রাজনৈতিক সমাধানের কথা বললেও তার কিছুই হয়নি। তাই কেন্দ্রের ওপর আর তাদের ভরসা নেই। রাজ্যকে তারা ভরসা করেন। মমতা সরকারের ওপর তাদের আস্থা আছে। মার্চ মাসে পাহাড় সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই জিটিএ নির্বাচন হবে। সেই সময়েও তিনি জানিয়েছিল যে, রোশন গিরির দল ছাড়া জিটিএ নির্বাচন সবাই চাইছে। বাস্তবে হচ্ছেও তাই।
তবে বলা যায়, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে গুরুং অ্যান্ড কোং। জিটিএ-এর অতিরিক্ত ক্ষমতার দাবিতে সরব তারা। বিমল গুরুংয়ের স্পষ্ট বক্তব্য, গোর্খা জাতির জন্য তাঁর সব চলে গিয়েছে, প্রাণ চলে গেলেও কিছু ব্যাপার নয়। যদিও অনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তাঁর দলীয় কার্যালয়ের বাইরে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। শুধু দলের কর্মীরাই ছিলেন।