তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভূপতিনগর, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামল ব়্যাফ

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভূপতিনগর, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামল ব়্যাফ

কলকাতা: ভূপতিনগরে বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত এলাকা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-সহ বাকিদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, এই ঘটনার বিজেপি’র দিকে পাল্টা আঙুল তুলেছে তৃণমূল কর্মীরা৷ সোমবার ভূপতিনগরে তৃণমূল ও বিজেপি’র মধ্যে সংঘর্ষে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে৷ তৃণমূল কর্মীরা জড়ো হয়ে বিজেপি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়৷ অভিযোগ, বিজেপি গোটা বিষয়টাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে ব়্যাফ৷ রয়েছে পুলিশবাহিনী৷ 

আরও পড়ুন- দিল্লি সফরে কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক? জবাব দিলেন মমতা

তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি’র লোকই বোমা মেরেছে৷ ওরা বিজেপি’র হার্মাদ৷ ওরাই রাতের অন্ধকারে চিনজন তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে৷ এদিন উত্তেজনা ছড়ালে বেশ কয়েকজনকে আটক করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময় পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় গ্রামবাসীদের। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা৷ 

এদিকে, এই ঘটনায় তদন্তকারীদের দাবি, নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই তৃণমূলের মৃত বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও ফায়ার সার্ভিস আইনের ধারায় মামলা করা হয়েছে। তবে নিহতদের দেহ কী করে ঘটনাস্থল থেকে অত দূরে গেল তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তদন্তকারীরা।

নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। শ্রমিকদের বাড়িতে নিয়ে এসে বাজি তৈরি করতেন নিহত রাজকুমার মান্না। বারবার বারণ করলেও তিনি শোনেননি৷  শনিবার রাত ৯টা থেকে বোমা বাঁধতে বসেছিলেন রাজকুমারবাবু ও তাঁর ২ ভাই। সেই সময় পাশের বাড়িতে ছিলেন রাজকুমারের স্ত্রী। তখনই বিকট শব্দ শুনতে পান৷ ছুটে এসে দেখেন গোটা বাড়ি ধুলোয় মিশে গিয়েছে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ৷